শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য মজুদ ৪০ হাজারের বেশি দেশি পশু

প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : আসন্ন কোরবানি ঈদে ভারত গরু না দিলেও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন খামার ও বাড়িতে প্রায় ৪০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানির জন্য। এর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫৫০টি এবং ছাগল রয়েছে ১১ হাজার ৮১৭টি।
দেশি গরুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় জেলার অধিকাংশ খামারি নিজেদের গচ্ছিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি বিনিয়োগ করে কোরবানির বাজার ধরার জন্য এ পশু পালন করেছেন। এসব গরু পালনকারী ও খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক খামারি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ইতোমধ্যে জেলার হাটগুলোতে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, স্থানীয় সরকারি পশু চিকিৎকদের সহযোগিতায় এ বছর সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ৪০ হাজার ৩৬৭টি গরু, মহিষ ও ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিকভাবে শতাধিক গরু মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। কেউ শখের বশে, কেউ বেকারত্বের অভিশাপ ঘোঁচাতে, কেউবা সংসারে সচ্ছলতা আনতে এসব খামার গড়ে তুলেছেন।
কোরবানিতে দেশি জাতের ও শংকর জাতের গরু চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ ধরনের গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটা তাজাকরণ শুরু করেছেন বছর ধরে। জেলার বড় পশুর হাট পাটকেলঘাটা বাজার, দেবহাটার পারুলিয়া ও সাতক্ষীরা সদরের আবাদের হাট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নতুন পুরাতন পশুহাটগুলোতে কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বেপারীরা বাড়ি বাড়ি যেয়ে পশু অনুযায়ী দরদাম করে কিনতে শুরু করেছেন। তবে পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় গরু-মহিষ পালন করতে এবার খরচও হয়েছে অনেক বেশি। সে কারনে গত বারের তুলনায় এবার পশুর দাম অনেক বেশি।
গরু খামার করে আবার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে অনেকেই। বেকার যুবক ও দরিদ্ররা খামার করে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অন্যদিকে সচ্ছলতা এনেছে সংসারে। সংসারের অভাব গোঁচাতে অনেকে খামারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, আবার অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন সংগ্রহ করে গো-খামার গড়ে তুলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলার উন্নত মানের পশু একদিকে যেমন দারিদ্র্যবিমোচনে অবদান রাখছে। তেমনি আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারিরা যে পরিমাণ গরু পালন করছেন, তাতে ঈদে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ভারত থেকে গরু আসা কমে যাওয়ায় দেশীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন