পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে নিয়মিত বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়া আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবার শুধু নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পরিষদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ১ টাকা ২০ পয়সা করে পাবেন।
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবারই প্রথম বোনাস শেয়ার বিহীন লভ্যাংশ ঘোষণা করল কোম্পানিটি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্তির বছর অর্থাৎ ২০০৬ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়ে ছিল। এরপর ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেয় কোম্পানিটি।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ২০১২ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। তারপর ২০১৮ সালে ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার নিয়মে পরিণত করা আইপিডিসি ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ এবার সে পথে হাঁটেনি। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পরিষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ এপ্রিল। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ৯০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩৪ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ার দাম যতখুশি বাড়তে পারবে।
তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন