শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘সাইলেন্ট কিলার’কে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুজন

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইমরান মাহমুদ, কক্সবাজার থেকে : বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে অতোটা পরিচিত নন তিনি। তবে আশি, নব্বই দশকে ক্যারিবিয় ক্রিকেট রূপকথার নায়ক কোর্টনি ওয়ালশের বীরোচিত কীর্তি দেখেছেন খালেদ মেহমুদ সুজন টিভি পর্দায়। ১৭ বছরের টেস্ট  ক্যারিয়ারে ১৩২ টেস্টে ৫১৯ উইকেটের পাশে ২০৫ ওয়ানডেতে উইকেট ২২৭টি। গতি আর সুইংয়ের মিশেলে উইকেট সংখ্যার সমষ্টি ৭৪৬টি। সে সময়ের ‘সাইলেন্ট কিলার’ (গুপ্তঘাতক) খ্যাত এই ক্যারিবিয়কে বাংলাদেশ দলের স্পেশালিস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব দেয়ায় দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিসিবি পরিচালক এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মেহমুদ সুজন-‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ওয়ালশ অনেক বড় একটি নাম। শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও সে অনেক বড়। বাংলাদেশ দলের সাথে তার সংযুক্তি অবশ্যই আরো বড় একটি ব্যাপার।’
 ৫৪-তে পা রাখা ওয়ালশকে বহুরুপে দেখেছে বিশ্ব। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার, ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব আল হাসানের দল জ্যামাইকা তালাওয়াসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন এই গতির রাজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ২২টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া ওয়ালশ সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হিসেবে। বোলিং কোচ হিসেবে এমন একজনকে পাওয়ায় রোমাঞ্চিত হবারও ব্যাখ্যা দিলেন সাবেক এই মিডিয়াম পেসার, ‘যার এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার তাকে পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার। তার যে জ্ঞানের ভা-ার সেটা যদি আমার সঠিকভাবে নিতে পারি, কাজে লাগাতে পারি- আমাদের ক্রিকেট আরো সমৃদ্ধ হবে।’ কারণ হিসেবে সুজন ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘সে (ওয়ালশ) কোচিং না করালেও, কমেন্ট্রি করার সুবাদে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি বোলারের ধরণ, ভালো এবং খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জানা আছে তার। সেসব অভিজ্ঞতাই একজন বোলারকে কোচ হিসেবে উন্নত করতে পারে। তার  অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করাটাই আমাদের ক্রিকেট লাভবান হবে।’
তার কোচিং ক্যারিয়ার কিংবা কোচিং জ্ঞান ভাবাচ্ছে না সুজনকেÑ ‘তিনি কোচ হিসেবে কোন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিনা, তা জানা নেই। কোচদের যেমন লেভেল-১, লেভেল-২ ও লেভল-৩ করা থাকে, তার আছে কিনা জানিনা। কিন্তু মাঠের অভিজ্ঞতা। কোন পরিস্থিতি কি করতে হবে একজন বোলার কোন পরিস্থিতি কি ধরণের বোলিং করবে তা  ভালই  জানেন তিনি। তাকে বলা হতো ‘সাইলেন্ট কিলার’। কারণ তার রানআপ এমন ছিল যে সে দৌঁড়ে আসছে সেটি ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাক ব্যাটসম্যানও শুনতে পেতেন না। এসব কারণে আমি খুবই অধিরে অপেক্ষা করছি তার জন্য।’ শুধু জাতীয় দলেই নয় বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটারদের জন্যও ওয়ালশকে কাজে লাগাতে চান সুজন, ‘আমাদের সঙ্গে ওর চুক্তিতে কি কি আছে,তা জানিনা। যদি সুযোগ থাকে তাকে আমরা এইচপি বলেন অনুর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য কাজে লাগাতে পারলে আমাদের তরুণদের অনেক কিছুই শেখার থাকবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন