ট্রাক ছিনতাইয়ের প্রায় ৪ মাস হলেও ৬০ লক্ষাধিক টাকার কাপড় এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ইতোমধ্যেই পাঁচজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এরপরও লুণ্ঠিত কাপড়গুলো উদ্ধার করতে পারছে না। কাপড়ের আড়তদার বাবুরহাটের ব্যবসায়ী মো. ইমাম হোসেন জীবনের কষ্টার্জিত সম্পদ হারিয়ে নরসিংদী টাঙ্গাইলের মধ্যে পাগল প্রায় হয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন। কাপড়ের জন্য কালিহাতী এলাকায় ৪ মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ছিনতাই ঘটনার কোনই কিনারা হচ্ছে না।
আড়তদার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর নরসিংদীর শেখেরচর বাবুরহাট থেকে ৬০ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের ৩৬ বেল কাপড় মারিয়া এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৪২২৯) ভর্তি করে নওগাঁর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে। ট্রাকের ড্রাইভার ছিলেন রবিউল আওয়াল এবং কাপড়ের স্কর্ট মো. আলামিন। রাত সাড়ে দশটায় ট্রাকটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানাধীন মহাসড়কের ৩নং ব্রিজ সংলগ্ন পূর্বপাশে পৌঁছার সাথে সাথে পেছন দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার ওভারটেক করে সামনে গিয়ে ট্রাকটির গতিরোধ করে। এরপর প্রাইভেটকার থেকে মুখোশধারী তিনজন ছিনতাইকারী নেমে কাপড়ের স্কর্ট আলামিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে এলেঙ্গার দিকে নিয়ে যায়।
ইমাম হোসেন কালিহাতী থানায় ৭ নভেম্বর মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার হয়নি। তবে ৫ জন ছিনতাইকারী ধরা পড়েছে। তারা হলেন জামলপুরের মুসলিমাবাদ গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র মো. ফারুক হোসেন, বেলতল মেলান্দহ গ্রামের সোহরাব আলীর পুত্র মো. হাফিজুর, শেরপুর জেলার চক সাহাবদী গ্রামের দুদু মিয়ার পুত্র মিরাজ, পাবনা জেলার দক্ষিণ রাঘবপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার পুত্র সোহেল রানা, একই জেলার চর সাহাবদী গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের পুত্র মুছা মিয়া। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রকাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাপড় উদ্ধারের জন্য এবং বাকি আসামি গ্রেফতারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। শিগগিরই ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন