লিচুর জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরে লিচুর বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক ও ফড়িয়ারা। লিচুর সাথে এবার আমের উৎপাদনও ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাম্পার ফলনের পরও গতবছর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ফড়িয়ারা এবার লাভের আশায় বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই মুকুলে ভরে গেছে গাছ। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় গাছ পরিচর্যার কাজ চলছে পুরোদমে। কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা বলছেন।
অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় গত দেড় যুগ ধরে ধান, গমসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে লিচু আবাদে ঝুঁকে পড়ছে কৃষক। কৃষকের পাশাপাশি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লিচুর বাগান। লিচুর বাগান গড়ে তুলতে পারলেই লাভ। কোন ঝামেলা ছাড়াই গাছ নয় কেবল আগাম ফল বিক্রি করেই টাকার দেখা পাওয়া যায়। কেননা ফল না তোলা পর্যন্ত চুক্তি মাফিক সকল ধরনের পরিচর্যা করে ব্যবসায়ীরাই।
মৌসুমী ফল আম ও লিচু বাজারে আসতে আরো দুই থেকে আড়াই মাস বাকি রয়েছে। তবে রসে ভরা বেদেনা আর চায়না থ্রি লিচুর জেলা দিনাজপুরের গাছগুলি মুকুলে ভরে গেছে। বড় ধরনের ঝড় বা তাপদাহ না হলে এবার মুকুলের মতই গাছ ভর্তি ফল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
দিনাজপুরের আদি সুস্বাদু লিচু হিসাবে বেদেনা লিচুর সুনাম দীর্ঘ দিনের। কিন্তু গত এক দশক আগে আসা হাইব্রিড জাতের চায়না-থ্রি লিচু বেদেনা লিচুর জায়গা কিছুটা হলেও দখল করে নিয়েছে। সাইজে বেদেনার চেয়ে বড় এবং রসেও ভরপুর। তবে স্বাদে ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়াও মান্দরাজী, বোম্বে, কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু। গাছে মুকুল আসায় কৃষক ও ফড়িয়ারা সেচ দিতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি হলে সেচের প্রয়োজন হবে না। মুকুল থেকে দানা সৃষ্টি হলেই পর্যায়ক্রমে সার- ভিটামিন প্রয়োগ করা হবে। কৃষি বিভাগের মতে এবার দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু ও ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে। মৌসুমী এই ফল সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়া হলে কৃষক ব্যবসায়ীরা লাভবান হতো যেমন তেমনি রসালো পিপাসুরা সময় নিয়ে আম-লিচুর স্বাদ নিতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন