নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
মধুমাস শুরুর সাথে সাথে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল। বিশেষ করে বিদেশি লাল জামরুল পাওয়া যাচ্ছে। আর অপরিপক্ব আম ও লিচুতে ভরা বাজার। স্বাদ যেমন হোক ক্রেতারা তা কিনছেন বছরের ফল হিসাবে। বিভিন্ন জাতের আম পাক ধরতে এখন প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে। আর লিচু টসটসে লাল হতে সময় লাগবে লাগবে সপ্তাহ দুয়েক। কিন্তু একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় আর বাদুরসহ অন্যান্য পাখির অত্যাচার হাত থেকে রেহাই পেতে গোলাপি সবুজ রঙের আভায় ঘেরা লিচু বাজারে আনছেন। অনেক জায়গায় খোসা পচা রোগ ধরায় দুটো পয়সার আশায় বাগান মালিকরাও আগাম বাগান বিক্রি করেছেন পাইকারদের কাছে। সৈয়দপুরের রেলওয়ে বাজার ঘেষে রেললাইনের ধারে নিয়মিতভাবে বসছে লিচু ও আমের বাজার। এখানে লিচু আসছে সৈয়দপুর ও তার আশেপাশের বদরগঞ্জের দিলালপুর, লালদীঘি, খানসামার চিরিবন্দর, পাকেরহাট, রানীরবন্দর প্রভৃতি এলাকা। বাইরের জেলার আম ও লিচু এখনও আসা শুরু হয়নি। তবুও এই বাজারটি ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা কিনছেন আম ও লিচু। পাইকাররা ১০০ লিচু কিনছেন মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর খুচরা দোকানীরা সেই লিচু বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা থেকে ২শ’ টাকায়। গ্রামের হাটবাজারে সেই দাম আরও বেশি। আড়তে কাজ করা আফসার আলী জানান, সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে লিচুর। মাসখানেকের মধ্যে বোম্বাই, বেদনা, চায়না-থ্রি এর মতো ছোট বিচি আর রসালো লিচু বাজারে আসবে। অপরিপক্ব, কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম আর ভারতীয় আমে বাজার ভরে গেছে। পাইকাররা এসব আম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি হিসাবে প্রতিমন ৩ হাজার ২শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। দোকানীরা এসব বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ২শ’ কেজি দরে। শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে আম আর লিচু। মৌসুমী হকাররা ডালিতে করে শহরের পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করছেন। বাচ্চাদের আবদার রক্ষায় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব আম ও লিচু কিনছেন ক্রেতারা। দেশের মাটিতে ফলছে এখন বিদেশি লাল জামরুল। চারা সংগ্রহ করে লাগানোর পর সেই গাছে থোকায় থোকায় জামরুল এসেছে। পাইকাররা কিনে বা চাষি নিজেই সেই জামরুল বিক্রি করছেন ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে। লাল টসটসে এই জামরুল ক্রেতাদের সহজেই আকর্ষণ করছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাই জাতের এই জামরুল কেনার জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন