শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চোর আতঙ্কে রোগীরা

নরসিংদী সদর হাসপাতাল

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

নরসিংদী সদর হাসপাতালে চোরদের উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে বিরাজ করছে চোর আতঙ্ক। সঙ্ঘবদ্ধ চোরেরা প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। রোগীরা টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ালে ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। বোরখার পকেটে কেটে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীদের মোবাইল, টাকা-পয়সা, থালা বাসন, কাপড়-চোপড়, স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। চোর দমনে কেউ এগিয়ে আসছে না। যার ফলে, হাসপাতালের রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। হাসপাতালে মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও তার নিরাপত্তা পাচ্ছে না। সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে চোর চক্রের শিকার হয়েছে জায়েদা নামে এক মহিলা। তার বাড়ি শিবপুরের ভুরভুরিয়া গ্রামে। রোগীর টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় তার ব্যাগ থেকে ৭০০০ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।। ওষুধ কিনতে টাকা দিতে গিয়ে ব্যাগে টাকা না পেয়ে জায়েদা চিৎকার করে কেঁদেছে।
জানা গেছে, সদর হাসপাতালের গেইটে কোন দারোয়ান নেই। ১০০ বেডের হাসপাতালটিতে দারোয়ানের কোনো পদ নেই। যার ফলে, রাতদিন ২৪ ঘণ্টাই মূল গেইট খোলা থাকে। আর এই সুযোগ নিয়ে চোর চক্র ২৪ ঘণ্টাই হাসপাতালের ভিতর ও বাইরে অবাধে যাতায়াত করার সুযোগ পাচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীরা হাসপাতালে ভিড় জমালে চোর চক্র ভিড়ের ভিতর চোর ঢুকিয়ে দেয়। তারা রোগী সেজে লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীদের অন্যমনস্কতার সুযোগে নিয়ে ব্যাগ, পার্স, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। প্রতিদিনই ঘটে চুরির ঘটনা প্রতিধ্বনি শোনা যায় রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের আহাজারি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয় করোনার টিকা উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাগণ। চারদিকে পুলিশ দিয়ে ঘেরা অনুষ্ঠানটি চলাকালে চোরেরা অনুষ্ঠান থেকে চারটি মোবাইলসেট চুরি করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি মোবাইলসেট ছিল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীমের। চুরি যাওয়া এসব মোবাইলের একটি মোবাইলসেটও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ আমিরুল হক শামির জানান, প্রায়ই হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটে বলে শুনতে পাই। তবে তারা কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে যায় না। যার ফলে আমার কিছুই করার থাকেনা। এরপরও অনেক চোরকে ধরে পেটানো হয়েছে। পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিন্তু তারা পুনরায় জামিনে বেরিয়ে এসে একই কান্ড ঘটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, এগুলি ভাসমান চোর। চুরি করে চলে যায়। সঠিক তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন