রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘দেশের খেলা ছেড়ে আইপিএলে গেলে বেতন কেটে নাও’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

কিছু বললাম, আর কিছু পেটে রাখলাম-এ ধাঁচের লোক নন জেফ বয়কট। নিজের মনের কথা অকপটে বলে দেয়ায় জুড়ি নেই তার। তা সেটি যত বিতর্কিতই হোক না কেন। এবার তুমুল আলোচিত-সমালোচিত ‘রোটেশন পলিসি’ ও আইপিএল ইস্যুতে তিনি ধুয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের বোর্ডকে। এই ইংলিশ ব্যাটিং গ্রেটের মতে, ইসিবির উচিত মেরুদন্ডহীন আচরণ না করে ক্রিকেটারদের প্রতি শক্ত হওয়া।
ব্যস্ত বছর সামনে রেখে ও জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মানসিক ধকলের কথা ভেবে এবার ভারত সফরে শীর্ষ ক্রিকেটারদের কয়েকজনকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়েছে ইংল্যান্ড। বিশেষ করে যে ক্রিকেটাররা তিন সংস্করণই খেলেন। পূর্ণ শক্তির দল ছাড়া খেলতে নেমে ইংলিশরা টেস্টে সিরিজে উড়ে গেছে ভারতের কাছে।
এছাড়া আইপিএলের সময় ক্রিকেটারদের ছাড় দেওয়া হবে বলে এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের খেলার কারণে মে-জুনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নাও পারেন বেশ কয়েকজন ইংলিশ ক্রিকেটার।
ব্রিটিশ প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা কলামে এই সবকিছু নিয়েই বোর্ড ও ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ১০৮ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান বয়কট, ‘রোটেশন পলিসি অনুসরণ করে ভারতে ভজকট পাকিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। এমন মেরুদন্ডহীন উপায়ে ক্রিকেটারদের সামলানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ক্রিকেটাররা মনে হয় ভুলে যায় যে, ইংল্যান্ডের হয়ে পারফর্ম না করলে আইপিএলের ডাক আসত না। কাজেই কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের জন্য তাদের উচিত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া। অবশ্যই আমি কখনোই চাই না ওদের উপার্জন বন্ধ করতে। তবে সেই উপার্জন কোনোভাবেই ইংল্যান্ডের ম্যাচ বাদ দিয়ে হতে পারে না।’
কোভিডের সময় জৈব-সুরক্ষা বলয়ের কঠিন জীবন থেকে খানিকটা স্বস্তি দিতে জাতীয় দলের খেলার সময়ও ইংলিশ ক্রিকেটারদের ছুটি-বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। এটি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক, ‘বাজি ধরে বলতে পারি, আইপিএলের সময় কোনো ক্রিকেটারকেই দেখবেন না তাদের পরিবার, স্ত্রী, বান্ধবী, বাচ্চাদের মিস করছে বলে টুর্নামেন্ট ত্যাগ করতে। ইংল্যান্ডের খেলার সময় যদি ক্রিকেটাররা বিরতি চায়, তাদের বেতন কেটে নাও। পুরো সিরিজ খেলতে রাজি না হলে তাকে দলে না নেওয়া হোক।’
ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন ও ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলি জাইলস ও নির্বাচক কমিটির প্রধান এড স্মিথকেও একহাত নিলেন বয়কট, ‘খুবই ফালতু পথে ইংলিশ ক্রিকেট পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের সবার উচিত লজ্জিত ও বিব্রত হওয়া।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন