কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলা উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্য্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া এবং গোলাগুলির ঘটনার পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে ২৮ জনকে আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করেছে। তবে পুলিশ আসামিদের নাম ঠিকানা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, গতকাল সকালের দিকে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে, সংঘর্ষের পর দ্রæত অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে কে কোন গ্রæপের সমর্থক তা জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ১২ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন