সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের, নোয়াখালীর এমপি একরাম, ফেনীর নিজাম হাজারীর নির্দেশে এখানকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালাচ্ছে।
নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, এডিশনাল এসপি শামীম, নোয়াখালীর ডিবির ওসি, পিবিআইবির ওসি মোস্তাফিজ, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসি, এসিল্যান্ডসহ সবাই একই স্টাইলে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত একসুরের গাঁথা, সব শিয়ালের এক ডাক। আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তে যদি আমি এবং আমার অনুসারীরা দোষী হই সেক্ষেত্রে আমাদের বিচার হবে। গত মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে ২৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড লাইভে এসে এসব কথা বলেন।
মির্জা কাদের বলেন, যারা দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে। এখানে পুলিশ সন্ত্রাসী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা একতরফা তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা আমার ছেলের ওপর হামলা করেছে পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করেনি।
পুলিশ আমার পৌরসভায় লোকজনকে উঠতে দেয় না। গত ২ মাস পৌরসভায় ২ লাখ টাকাও ইনকাম হয়নি। অথচ ত্রাণসহ আমার খরচ হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। পুলিশের কারণে কোন মানুষ উঠতে পারে না। কথায় কথায় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আমাদের পরিচালনা করে। পৌরসভায় এভাবে হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে।
মির্জা কাদের আরো বলেন, আপনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা আমেরিকায়, সিঙ্গাপুর বাড়ি আছে এগুলোর সব তথ্য আমার কাছে আছে। মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। আপনি ওবায়দুল কাদের আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারবেন না, যতক্ষণ আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন। কোম্পানীগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে আমার অনুসারী একনিষ্ঠ, জনপ্রিয় ও ত্যাগী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। না হয় ধমক দিয়ে বলছে আপনি যদি এলাকায় থাকেন আপনাকে তুলে নিয়ে আসব। এখানে পুলিশি অভিযান চলছে নাকি সন্ত্রাসী অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনাদের সকল তথ্য ফাঁস করে দেব। স্পষ্ট ভাষায় বলছি আমার কর্মীদের ওপর এখানে দমন নিপীড়ন বন্ধ করেন। এগুলো আপনার কারসাজি। ৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এত নির্যাতন দেখিনি। বিরোধী দলে ছিলাম তখনও এত নির্যাতন দেখিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন