গাঁজা-হেরোইন-ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকের প্রাধান্য ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলো। গত ২০ বছর ধরে, ইয়াবার একক আধিপত্য চলেছে। এখন যেন ইয়াবাও প্রধান্য হারাচ্ছে। তার জায়গায়, নতুন মাদক ঢোকাতে সক্রিয় সিন্ডিকেট। তিন বছর আগে, আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে কয়েকটি রুটে ঘুরে বাংলাদেশে আসে খাত নামের একটি মাদক। খাতের পর, দুবছর আগে আইস বা ক্রিস্টাল মিথের প্রথম চালান ধরা পড়ে।
মাদকের জগতে নতুন নাম এই আইস। ইয়াবার চেয়ে ৫০ গুণ ক্ষতিকর এই মাদকের সবশেষ চালান ধরা পড়েছে ৪ মার্চ, ২০২১। থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে এই চালান। আর খাতের চালানটি পার্সেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। দেখতে চায়ের পাতার মত হলেও শরীরে ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে দেশীয় গডফাদাররা মিলেই দেশে নতুন মাদক ঢোকানোর চেষ্টা করছে। অনুসন্ধান ও সরকারি তথ্য দুটোই বলছে, দেশি-বিদেশী কুরিয়ার সার্ভিসও এসব চক্রের সাথে জড়িত।
দেশী-বিদেশী মাদক সিন্ডিকেট আইস, খাত কিংবা ট্যাপেন্টাডলসহ নতুন ধরণের বেশ কিছু মাদককে জনপ্রিয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে । বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীরা ইয়াবার পরের ধাপের মাদক আইসকে বাংলাদেশের মাদকসেবীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা কৌশল নিচ্ছে। তাদের সাথে দেশীয় মাদক গডফাদাররাও জড়িত রয়েছে। এখনি এদের নির্মূল করতে না পারলে, ভবিষ্যতে মাদক পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো বলছে, নতুন মাদক সিন্ডিকেটকে কোনো ভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না, তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন