শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবন ১৪৩১, ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি থেকে সরল মিয়ানমার সেনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ৩:৪৭ পিএম

তিন বছর পরে মিয়ানমারে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান ঘাঁটি দখলমুক্ত করে চলে গেল মিয়ানমার সেনা। মিয়ানমারের সাগাইং ডিভিশনের টাগা ছিল আলফা, এনডিএফবি. এনএসসিএন কে, কেএলও-সহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদর দফতর। খাপলাঙের মৃত্যুর পরে খাপলাং গোষ্ঠী কয়েক টুকরো হয়ে যায়।

২০১৯ সালে মিয়ানমার সেনার সঙ্গে খাপলাংদের সংঘর্ষবিরতি তথা স্বশাসনের চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার পরে মিয়ানমার সেনা টাগায় সামরিক অভিযান চালায়। পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন সানরাইজ’। ভারতীয় সেনার তদানীন্তন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহানের নেতৃত্বে ভারত ও মিয়ানমার সেনা বোঝাপড়ার মাধ্যমে মিয়ানমারে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিবিরে হানা দেয়।

অরুণাচল সীমান্তের ও-পারে ভারতীয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ও মিজোরাম ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান, নীলগিরি, হওক্যাত এলাকাগুলিতে বর্মি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে একসঙ্গে চলেছিল আক্রমণ। এর আগে মিয়ানমার সেনা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎখাত করলেও পরে সেখান থেকে চলে যেত। ফের ফিরে আসত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এ বার কিন্তু ভারতের অনুরোধে ঘাঁটি দখলের পরে সেখানে সেনা ছাউনি বসিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কার্যত ২০২০ সাল থেকে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে হন্যে। কিন্তু বর্তমানে মিয়ানমারে চলতে থাকা সেনা-জনতা সংঘর্ষ ও মিয়ানমার সেনার হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে যাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়তে নামার পরে মিয়ানমার সেনা টাগা ছেড়ে চলে যেতে থাকে।

সেনা সূত্রে খবর, তাতামাদাও বা মিয়ানমারের সেনা-বিরোধী পিডিএফ টাগা এলাকায় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলেই ঘাঁটি দখলে রাখা সেনার দল সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। টাগায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি এখন জঙ্গলে ঢাকা। তবে ফের তারা সেখানে ঘাঁটি গাড়লে সমস্যা হতে পারে বলে মত আসাম রাইফেলসের এক কর্তার। সূত্র: এবিপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন