শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নাগরিক সেবা পেলে জনগণ অবশ্যই কর পরিশোধ করবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ৫:১৬ পিএম

নাগরিক সেবা নিশ্চিত করলে জনগণ কর পরিশোধে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। সেই সাথে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো জনবান্ধব হওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে 'ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অফ সিটি কর্পোরেশন' (C4C) প্রকল্পের 'Beyond Covid-19: City Corporation (Local Govt) Fiscal Space' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জনগণকে যদি সেবা নিশ্চিত করা হয়, তাহলে জনগণও কর পরিশোধ করবে। সিটি কর্পোরেশনগুলোকে নিজস্ব অর্থায়ানে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি কর আদায়ে আরও বেশি ভূমিকা নেয়ার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জনগণের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে সকল জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, জনগণ যদি বুঝতে পারে তারা ১ হাজার টাকা কর পরিশোধ করলে সরকার তাদেরকে ১০ হাজার টাকার সুযোগ সু্বিধা দিবে । তখন জনগণ নিজ ইচ্ছায় কর পরিশোধ করবে । কোনো জোর করার প্রয়োজন হবে না। জনগণকে আপনারা যে সেবা দিচ্ছেন বা দিবেন তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আশ্বস্ত করতে হবে। তবেই জনগণ সেবার বিনিময়ে কর পরিশোধ করবে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, মানুষ যখন জানবে যে তার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে রাস্তা করা হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে, ধূলাবালি থাকবে না, মশা থাকবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত সব কিছুর ব্যবস্থা থাকবে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তখন কর দিতে তারাও দায়বদ্ধ থাকবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তানই নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে উন্নয়নের বিভিন্ন ইনডিকেটরে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ১৩ শত ডলার আর আমাদের দেশের ২১ শত ডলার। শুধু মাথাপিছু আয় নয় সকল খাতে আমরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক উপরে আছি। আর এটা শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম থেকেই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে তিনি করোনা মোকাবেলা করে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোভিড টেস্ট করার জন্য শুরুতে দেশে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব ছিলো। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে একশতর উপরে পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। এছাড়া দেশের প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলায় আইসিইউ স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার একত্রিশ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করায় করোনা সংকট অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলকভাবে মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি, জানান মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পে সহায়তাকারী উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন