স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন,স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কার্যকর এবং শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সক্ষমতা অর্জন করবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত কার্যকর স্থানীয় সরকার জাতীয় কনভেনশন-২০২১ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের সকল আইন পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করতে সংশোধন করা হচ্ছে। আইন সংশোধন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেশি শক্তিশালী কার্যকর এবং সক্ষম হবে। এসব প্রতিষ্ঠান কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো খুঁজে বের করার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যতো বেশি শক্তিশালী করা যাবে ততো বেশি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য দরকার জনগণের অংশগ্রহণ।
মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার আওতায় আনার অর্থ হেয় করা না। বরং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মনিটরিং করা, সরকার এবং জনগণ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকলকে সহাবস্থান করে কাজ করতে হবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সমন্বয় করে কাজ করার বিকল্প নেই। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ব্যতিরেখে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন। জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিত অফিস করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান- মেম্বার নির্বাচিত হয়ে এটাকে অপশনাল হিসেবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ আপনাকে জোর করে ক্ষমতায় বসান নাই বরং আপনি জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চেয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের নাগরিক সেবায় আরো বেশি মনোনিবেশ করার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সেই সাথে সাথে তাদের চাহিদাগুলো পূরণ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের সম্মানিত ও মর্যাদাশীল করার জন্য তার মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের আয় দিয়ে পরিচালিত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকার বড় বড় অর্থাৎ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব আয় দিয়ে এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন করবে। উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদকে ইনকাম জেনারেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব স্থান থেকে রাজস্ব আদায় করা যাবে, সেবিষয়ে স্টাডি করেন। এসব প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
গভর্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের চেয়ারপার্সন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এছাড়া, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন