বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তিস্তা মহাপ্রকল্প’ বাস্তবায়নের অপেক্ষা

উত্তরের নদীর বাঁকে বাঁকে-৫ কোথাও সরু খাল কোথাও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ৫ জেলার শতাধিক পয়েন্টে নদীপাড়ের লাখো মানুষের ‘স্তব্ধ’ কর্মসূচি পালন

স্টালিন সরকার (উত্তরাঞ্চল থেকে ফিরে) | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:১৯ পিএম

চীনের টাকায় তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং তিস্তা চুক্তিসহ ৬ দফা দাবিতে গতকাল বুধবার তিস্তা নদী পারের লাখো মানুষ ১০ মিনিট থমকে দাঁড়িয়েছিলেন। রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা দোকানপাট বন্ধ রেখে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। তিস্তা নদীর দু’পাড়ে দোকানপাট বন্ধ রেখে এই ‘স্তব্ধ’ কর্মসূচি ৫ জেলায় প্রবাহিত তিস্তা নদীর প্রায় শতাধিক পয়েন্টে বেলা ১১টা থেকে ১০ মিনিট ব্যাপী পালন করা হয়। কর্মসূচিতে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের বক্তারা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নদীপাড়ের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা ভয়াবহ হুমকি থেকে রক্ষা করতে দ্রুত তিস্তা চুক্তি সই করতে হবে। দিল্লির তাঁবেদারী বন্ধ করে সরকার তিস্তা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে না পারলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

তিস্তা পাড়ের মানুষের এক দাবি যেন সার্বজনীন হয়ে গেছে। তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। নদী পাড়ের মানুষের সবার এক দাবি ‘তিস্তা মহাপ্রকল্পের’ কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। কাজ শুরুতে বিলম্ব হলে দিল্লি আবার চীনের টাকায় তিস্তা প্রকল্পে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করবে। প্রশাসনের কিছু দিল্লির তাঁবেদার আমলা ও বিবেক বিক্রি করা বুদ্ধিজীবী চীনের টাকায় তিস্তা প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারা করতে পারেন। নীলফামারী জেলার তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দর্শণীয় স্থান। সকাল-দুপুর-বিকেল দিনভর হাজারো মানুষের পদচারণা। তিস্তা সেচ প্রকল্প দেখতে এসে দর্শনার্থীরা পাশের বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ, নদীর চরে ঘোরাঘুরি করেন। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া বেড়াতে আসা মানুষ চরম ক্ষুব্ধ। সেই বিক্ষুব্ধদের একজন হলের গাইবান্ধা জেলার পশালবাড়ি উপজেলার নিয়ামত আলী। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বাসে পিকনিং করতে এসেছেন তিস্তার ডালিয়ায়। ১৩ মার্চ দুপুরে নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। বললেন, ভারত গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি সারিয়ে নিয়ে যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিচ্ছেন; চীনের টাকায় ‘তিস্তা মহাপ্রকল্প’ বাস্তবায়ন করে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব’। নেয়ামত আলীর সঙ্গে ডালিয়া পিকনিকে আসা জহির-হজরত-হেমায়ত বন্ধুর সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন, ‘এবার ডালিয়া পিকনিক করছি। আবার আগামী বছর যখন আসব, তখন যেন তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ দেখে যেতে পারি। ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী বললেন, তিস্তার মহাপ্রকল্পে কাজের শুরু দেখতে মুখিয়ে আছেন নদীপাড়ের মানুষ।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী পারের পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার শৌলমারি, ডাউয়াবাড়ি গ্রাম ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা চীনের টাকায় ‘তিস্তা মহাপ্রকল্প’ হচ্ছে এ খবর শুনেছেন। খবর শুনে আনন্দে নিজেরা একে অন্যের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। খগাখড়িবাড়ি গ্রামের কোব্বাত আলী তো বলেই ফেললেন ‘আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করি তিস্তা প্রকল্পের কাজ যেন দেখে যেন মরতে পারি’। ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রামের কয়েকজন জানালেন, এবারও বন্যায় গ্রামের ৪০টি বাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি কোমর পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। অথচ এখন মরুভূমি হওয়ার মতো অবস্থা পানির অভাবে।

তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২৫টি পয়েন্টে সরেজমিন ঘুরেছি। নদীপাড়ের অসংখ্যা কৃষক, শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, জেলে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সবার মুখে এক প্রশ্ন, চীনের তিস্তা মহাপ্রকল্পে কাজ শুরুতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? কেউ কেউ বলছেন, সরকার অনুমতি দিতে বিলম্ব করছে ভারতের কারণে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদি ঢাকা সফর করবেন। তিনি ফিরে যাওয়ার পর সরকার চীনের টাকা তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করবে।

তিস্তা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ এলাকায় পানি নেই। নদীতে অসংখ্য চর পড়েছে। কোথাও কোথাও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নদী দুইভাগ তিনভাগ হয়ে সরু নালার মতো প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া পয়েন্টে চোখে পড়ল অসংখ্য চর। তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩০ কিলোমিটার দ‚রে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মহিপুরঘাট এলাকায় সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতু বিভাগীয় শহর রংপুর যাতায়াতে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী, কালিগঞ্জ ও হাতিবান্ধা উপজেলার মানুষ বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। মহিপুর এলাকায় তিস্তায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চর পড়ে গেছে। স্থানীয় জেলার জানান, নদীতে পানি না থাকায় তারা চরম দুর্দিনে রয়েছেন। তাদের একজন সবুর আলী বলেন, ‘বাহে পানি থাকলে নদীত (নদী) মাচের (মাছ) অভাব হয় না। পানি না থাকায় হামরা এখন ঘরোত (ঘরে) বসি আছি। কাজকাম নাই, হামরা কড় কষ্টত আছং’।

রংপুরের হারাগাছ হয়ে তিস্তা নদীর পাড় ধরে কাউনিয়া পয়েন্টে ‘রেলসেতু’ পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেল গোটা নদীতে চর পড়েছে। কৃষকরা ধান, গম, আলু, ডাল, বাদামের আবাদ করেছেন। জহির উদ্দিন নামের একজন কৃষক বললেন, ‘নদীত পানি নাই বাহে। হামার মাছ ধরাও নাই। তাই চরের একটু জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। সবাই করে আমরাও করেছি। পানি থাকলে কেউ এমন আবাদ করত না’। কাউনিয়ার কুশ্যা গ্রামের হবিবর রহমান বললেন, ‘পানির শ্রোত হলো তিস্তা নদীর যৌবন। তিস্তায় যখন যৌবন থাকে, তখন নদী পাড়ের মানুষের যৌবন টইটুম্বুর করে, পানি নাই সব শুকনা’।

হারাগাছের স্থানীয় সাংবাদিক মো. মেহেদী হাসান সুমনকে নিয়ে রংপুরের তিস্তা রেল সেতুর কাউনিয়া ও লালমনিরহাট পয়েন্টে যাই। কাউনিয়া পয়েন্টে তথা রেল সেতুর পাশে তিস্তা সড় সেতু চালু কয়েছে কয়েক বছর আগে। সেতুর পাশে দর্শনার্থীদের জন্য পার বেঁধে দেয়া হয়েছে। সেখানে বিকেলে হাজারো ভ্রমণপিপাসু ঘুরে বেড়ান। সেতুর পশ্চিমপার্শ্বে চায়ের দোকান দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলার তিস্তার জুম্মাপাড়া গ্রামের আফতাব রহমানের পুত্র আজিজুল হক। তিনি নদীর চিত্র দেখিয়ে বলেন, ‘নদীত পানি না থাকায় মাছ পাওয়া যায় না। চৈত্র মাসের প্রথম সাপ্তাহে এসেছেন। এ মাসের শেষ দিকে পায়ে হেঁটে তিস্তা পার হওয়া যাবে। তিস্তা হলো পাগলা নদী। বন্যায় ভারত বাঁধ খুলে দিলে নদী ভাঙে। আর এখন পানির অভাবে আরবের মরুভূমি হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে হলেও তিস্তার পানির হিস্যা নেয়া দরকার’। চায়ের দোকানে অন্য টেবিলে বসা স্থানীয় এক মাদরাসা শিক্ষক এগিয়ে এসে পাশের চেয়ারে বসলেন। গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেয়েই তিনি ব্যাগ থেকে বের করলেন কয়েকদিন আগে প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাবের একটি কপি। বললেন, ‘ভারতের সাথে আর তিস্তা চুক্তির দরকার পড়বে না। পত্রিকায় লিখেছে চীনের ৮ হাজার ২শ’ কোটি টাকায় তিস্তা মহাপ্রকল্প হচ্ছে। এর পরিকল্পনায় ১০৮ কিলোমিটার নদী খনন, নদীর দু’পাড়ে ১৭৩ কিলোমিটার তীর রক্ষা, চর খনন, নদীর দুইধারে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ, বালু সরিয়ে কৃষিজমি উদ্ধার ও ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা হবে। এছাড়াও প্রতি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন করা হবে। চীনের টাকায় এই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঘুরে যাবে তিস্তাপাড়ের মানুষের ভাগ্যের চাকা। তিস্তার মহাপ্রকল্প হলে এই লতিপুর, চরগুখন্ডা আর গ্রাম থাকবে না, শহর হয়ে যাবে’। ওই শিক্ষক আরেকটি অর্থনীতি বিষয়ক পত্রিকা বের করে দেখিয়ে বললেন, ‘দেখেন তিস্তা প্রকল্পের বিরোধিতার নামে বাংলাদেশের ওপর ভারত দাদাগিরি করছে। অথচ বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ চীনের বিনিয়োগের ধারের কাছেও নেই। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিদেশে বিনিয়োগ এসেছে ২৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। এই বিনিয়োগ চীনের অবস্থান প্রথম আর ভারতের অবস্থান নবম। চীন ওই বছর বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ৬২ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা)। এটা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রায় ২২ শতাংশ। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য; তাদের বিনিয়োগ সাড়ে ১৪ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশে বিনিয়োগের নবম স্থানের ভারতের বিনিয়োগ মাত্র ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে চীন ও যুক্তরাজ্যের পরেই রয়েছে সিঙ্গাপুর। তাদের বিনিয়োগ সাড়ে ৯ শতাংশ। চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পঞ্চম নরওয়ে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৬ষ্ঠ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সপ্তম হংকং, অষ্টম সিংগাপুর, নবম ভারত এবং দশম জাপান’।

তিস্তা নদীর রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, তাম্বুলপুর, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই, বজরা, গুনাইগাছ, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, বেলকা, তারাপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকা ঘুরে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা সকলের দাবি তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত। ভারতের গজলডোবায় বাঁধ দেয়া পানির অভাবে তিস্তা নদী খাঁ খাঁ করছে। চীনের টাকায় তিস্তা গতি পেলে এবং ভাঙা রোধ করা গেলে দেরি কেন কাজ শুরুতে? সুন্দরগঞ্জের তারাপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘হামরা শুনেচি বাঁধের দুইপাশে সমুদ্রসৈকত থাকপে।’ তিস্তার পাড়ের দুইধারে করা হবে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন নগরী। টাউন নামের আধুনিক পরিকল্পিত শহর, নগর ও বন্দর গড়ে তোলা হবে। তিস্তা পাড় হয়ে উঠবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির মতো সুন্দর নগরী।

জানা যায়, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পারে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর, নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন নামে একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর ধরে তিস্তা পাড়ে নির্মিতব্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করেছে। তিস্তা নদীর পাড়ের জেলাগুলো নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধায় চায়নার তিনটি প্রতিনিধি দল কাজ করেছে। ভারতের নানামুখি চাপ ও বাঁধা উপেক্ষা করে গত মাসে সরকার চীনের টাকায় তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গত মাসে তিস্তা প্রকল্পে সহজশর্তে অর্থের জোগান দেয়ার প্রস্তাব করে চীনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ অহেতুক বিলম্ব করা হচ্ছে। তিস্তা চুক্তির জন্য ভারতকে চাপ দেয়া উচিত; আবার দ্রুত চীনের টাকা তিস্তা মহাপ্রকল্প শুরু করা উচিত। নাহলে তিস্তা অববাহিকা উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলা মরুভূমি হয়ে যাবে। চীনের টাকায় তিস্তা প্রকল্প হলে নদীতে ১২ মাস পানি থাকবে; মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ দেখতে মুুখিয়ে আছেন নদীপাড়ের মানুষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Jakir Hossain ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১২ এএম says : 0
ড্রেজিংসহ সব বড় নদী শাসন এর ব্যবস্থা করুন। কারও চোখ রাঙ্গানি দেখার সময় বাংলাদেশের নেই dear PM.
Total Reply(0)
MD SAmSull Islam ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৩ এএম says : 0
আমাদের উত্তর অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি তিস্তার এই মহা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।যদি বর্তমান সরকার এটা করে তাহলে তার নাম আমরা উত্তর অঞ্চলের মানুষ শ্রদ্ধা হয় সারা জীবন উত্তর অঞ্চলের মানুষ শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করে যাবো ইনশাল্লাহ। কোন কুচক্রী মহলের কথায় কান না দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো সাহস দেখিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারলেই আমরা বুঝব বর্তমান সরকারের বুকের পাটা আছে।
Total Reply(0)
মোঃ হায়দার আলী ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৩ এএম says : 0
তিস্তা নদী, আমাদের প্রানের নদী। এনদীর জীবন মান,কৃষি,আমাদের পরিচিত সবকিছুই জরিত। কাজেই এনদীর উন্নয়ন মানে আমাদের জন্য খুশির বন্না বইবে।
Total Reply(0)
কে এম শাকীর ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৩ এএম says : 0
চীনের সাথে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ণ বাংলাদেশের জনগণের প্রাণের দাবী। আমাদের যে জনসংখ্যা তার খাদ্য জোগানের জন্য এই অঞ্চলকে নদী শাসনের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবুজে সমারোহ ভরে দিতে হবে এবং সেখান থেকে কৃষি পণ্য ষ্টোরেজ ও অন্যান্য শহরে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। তাদের এই দেশের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এমন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য।
Total Reply(0)
গাজ ওয়া তুল হিন্দ ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৪ এএম says : 2
চীনের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতেই হবে---তবেই ভারত উচিত শিক্ষা পাবে।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৪ এএম says : 0
তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
Total Reply(0)
Mizanur Chowdhury ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৬ এএম says : 0
চীন যদি এ প্রকল্প নিতে না চায় জাপান কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে এ প্রকল্পের বাস্থবায়ন দেশের মানুষের জন্য কল্যানকর হবে ।
Total Reply(0)
সুলতান শাহ্ আলম ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৭ এএম says : 0
তিস্তার অনুরূপ একটি পদ্মা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত পদ্মার দুই পাশে সহর ও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হোক।
Total Reply(0)
স্বপ্নের ক্যানভাস ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:১৭ এএম says : 0
ভারত খুশি হল কি অখুশি হল সেটা দেখার বিষয় নয় আমার দেশের উন্নয়ন যেভাবে হবে তাই করতে হবে ,,,
Total Reply(0)
কাজী স্বাধীন ২৫ মার্চ, ২০২১, ৯:২৬ এএম says : 0
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
Total Reply(0)
মুঃওয়াসিউল হক ২৫ মার্চ, ২০২১, ৯:৩৫ এএম says : 0
তিস্তা,তিস্তা করে মানুষ পদ্মার কথা ভুলে গেছে।ভুলে গেছে ১৯৭৬ সালে মজলুম জননেতা মুওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের কথা। উত্তরাঞ্চলে পদ্মায় মরুভূমির ধুধু বালুচরের কথা সবাই ভুলে গেছে। ভুলে গেছে মল্লিকাদির কথা,ভুলে গেছে বাসন্তী,ফাল্গুনীর কথা। পদ্মার মাঝিরা এখন রিক্সা চালক। জেলেরা ভিক্ষুক। আমরা সবাই ভুলে গেছি তাদের কথা। ভুলে গেছি "এন্টি ফারাক্কার" কথা। আমরা সবাই চাই চিনের টাকায় " তিস্তা প্রকল্প" সহ "এন্টি ফারাক্কা" তৈরী করা হোক।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন