রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

সেমিতে উইন্ডিজকে চায় বাংলাদেশ যুবারা

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হেড টু হেডে পিছিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ১৪টি মুখোমুখি লড়াইয়ে জয় ৬টিতে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গত আসরের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি বাংলাদেশ যুবাদের। সেখানে বিপরীত চিত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। ১৭টি মুখোমুখি লড়াইয়ে ১২টিতে হেসেছে বাংলাদেশ যুবারা। দ্বি-পাক্ষিক সফর বিনিময়ের আওতায় সর্বশেষ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে, ২টি সিরিজের ট্রফিই জিতেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী দলকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সে কারণেই সেমিতে পাকিস্তানকে এড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেই মনে-প্রানে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ ফতুল্লায় পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জয় কামনা করছে বাংলাদেশ যুবারা। গতকাল অনুশীলন শেষে এমনটাই জানিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ জয়ের নায়ক জাকির হোসেনÑ ‘অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেলে খুশি হব। ওদেরকে আমরা ৩ ম্যাচে হারিয়েছি, শক্তিতে এগিয়ে আছি। ওদের দূর্বলতা এবং শক্তি সম্পর্কে ধারনা আছে আমাদের। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই সেমিফাইনালে চাচ্ছি আমরা।’
নেপালের বিপক্ষে বাজে শুরুর পর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাকির। শুরু থেকে সিঙ্গল-ডাবলসে খেলে পার্টনারশিপ তৈরি করেছেন। এবং শ্লগে মারমুখী ব্যাটিংয়ে সময়ের চাহিদা মিটিয়েছেন জাকির। চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটিতে ( ৭৭ বলে ৭৫) চেনাতে পারা এই বাঁ হাতি মিডল অর্ডার নিজের তাগিদ থেকেই নাকি দায়িত্ব নিয়ে করেছেন ব্যাটিং, গতকাল সেটাই জানিয়েছেনÑ ‘আমাদের পরিকল্পনাই ছিল, ডানহাতি-বাঁহাতি জুটি থাকবে উইকেটে। শান্ত আউট হলে আমারই নামার কথা। যেহেতু দ্রæত উইকেট পড়ে গেছে, তাই উইকেটে যেয়ে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হবে, এটাই ছিল আমার লক্ষ্য। যেহেতু শান্ত ভালো খেলতে পারেনি তাই আমার মনে হয়েছে আমাকে ভালো খেলতেই হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ শটস খেলা থেকে বিরত থেকেও যে রানের গতি সচল রাখা যায়, তার রেসিপিটাই নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনিÑ ‘প্রথম পরিকল্পনা ছিল দেড়’শ পর্যন্ত দলকে টেনে নিব। তারপর পরিস্থিতি বুঝে এগিয়ে যাব। মাঠ অনেক বড় ছিল, প্রতি ওভারেই চার-পাঁচ করে আসছিল। তাই বড় শট খেলার দরকারই ছিল না।’ কোয়ার্টার ফাইনালে সিঙ্গল ডাবলের দিকে ঝুঁকে পড়ার পেছনে কারনটাও জানিয়েছেন জাকিরÑ ‘ওদের থ্রোয়িং আর্ম বেশি শক্তিশালী ছিল না। তাই এমনিতেই ২ রান করে সহজেই হচ্ছিল। ৪-৬ মারার দরকারই ছিল না। পরিকল্পনাই ছিল এক দুই করে খেলা।’
রানে ফিরতে একটু দেরিই হয়ে গেছে তার। দ. আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৯’র পর গ্রæপ রাউন্ডের অন্য ২টি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি জাকির। সেই জাকিরই কি না কোয়ার্টার ফাইনালে ফিনিশার! জাকিরের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার কারন, নেটে ভাল ব্যাটিংÑ ‘ম্যাচের আগে ৬-৭ দিন ধরে নেটে আমি খুব ভালো ব্যাট করছিলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ভালো খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছিলাম। আত্মবিশ্বাস তাই কিছুটা ফেরত পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমি পারব।’
মাঠে নেমে রানের জন্য ছটফট করা তার ব্যকরনে নেই, নিজের আপন বৈশিস্ট্যই হচ্ছে অপেক্ষা, সেই দর্শনের কথা জানিয়েছেন জাকিরÑ ‘অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে না। আমি বসে বসে অপেক্ষা করি যে যথনই নামব, শেষ ওভারে হোক বা প্রথম ওভারে, নেমেই দলের জন্য কিছু করব।আমি সবসময়ই এভাবে খেলি। গিয়েই শট খেলতে পারি না।’
আগে সেট হই, সময় নিয়ে খেলি। টি-টোয়েন্টি, আইপিএল, বিপিএল নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি ভাবছেন না জাকির। সাঙ্গাকারাকে দেখে উদ্বুদ্ধ এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান কাম উইকেট কিপার ধাপে ধাপে যেতে চান এগিয়ে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন