চৈত্র মাস মধ্যভাগে। ঋতুরাজ বসন্তের বিদায়পালা ঘনিয়ে আসছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই একটানা অনাবৃষ্টি, খরার হানা। পুড়ছে শহর-গঞ্জ, গ্রাম-জনপদ। দিনভর সূর্যের তেজে মাঠ-ঘাট, ফল-ফসলি জমি পুড়ে খাক। সেচের খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের ত্রাহিদশা। তীব্র তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও রাঙ্গামাটিতে ৩৮.৫ এবং সর্বনিম্ন উত্তর জনপদের তেঁতুলিয়া, ডিমলা ও রাজারহাটে ১৫.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৬.৭ এবং সর্বনিম্ন ২৩.৯ ডিগ্রি সে.। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া-জলবায়ু পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কের পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকায় আগামী ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপদাহ দিনে ও রাতে বাড়তে পারে। এ সময়ে তেমন বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক সপ্তাহে দেশের কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও ঝরেনি। আবহাওয়া দিন দিন রুক্ষ-শুষ্ক ও বৈরী হয়ে উঠেছে। শিপিং সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত। যা লঘুচাপ-নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন