রাজধানীর মুগদার একটি বাসায় ঢুকে জজ মিয়া ওরফে আলামিন (২৫) নামে এক যুবককে তারই দোকানের কর্মচারী গলা কেটে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর মুগদা বাসার টাওয়ারের পিছনে সর্দার গলির একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলামিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে। স্ত্রী কল্পনা ও ছোট ভাই হোসাইনকে নিয়ে মুগদার বাসায় ভাড়া থাকতেন। মুগদা বিশ্বরোডের ঢালে আলামিনের একটি লন্ড্রির দোকান আছে। মুগদা থানার এসআই সোয়েব খান জানান, ওই বাসার ৫ম তলা থেকে আলামিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা ছিল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে আলামিনের লন্ড্রির দোকানের কর্মচারী জোবায়ের ও তার বড় ভাই শাকিল ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলামিনের বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় আলামিনের স্ত্রী ও ছোট ভাই হোসাইন ভয় পেয়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দেয়।
চিৎকার করতে থাকে। তখন তারা দুজন আলামিনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন তাদের দুজনকে ধরে ফেলে। পরে থানায় খবর দেয়।
দোকান কর্মচারী জোবায়েরের বাড়ি আর নিহত আলামিনের বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে। গ্রামের কোনো দ›দ্ব বা দোকানের কোনো দন্দ্বের জেরেই কর্মচারী ও তার বড় ভাই মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন