ফেনী পৌরসভার লুদ্দারপাড় এলাকায় ছুরিকাঘাত করে আল আমিন (২৫) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামের আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকার ফরিদ কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় খুনি ডায়মন্ড পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল আমিন, তোফাজ্জল ও ডায়মন্ড এরা তিনজন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার রাজেন্দ্র বাটি গ্রামের বাসিন্দা। অনেকদিন ধরে তারা ফেনী পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের ফরিদ কলোনীতের ভাড়া থাকতো। তারা পেশায় ফেরিয়ালা হকার। ভোর হলে তারা সাইকেলে করে হরেকমাল বিক্রি করতে গ্রামে গ্রামে চলে যান। স্থানীয়রা আরও জানান, ডায়মন্ডের সাথে নওগাঁয় একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত কিছুদিন আগে মেয়েটি ডায়মন্ডকে ফোন করলে আল আমিন ফোন রিসিভ করে ডায়মন্ড সেজে মেয়েটিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এ ঘটনায় আল আমিনের সাথে ডায়মন্ডের বিরোধ চলছিল অনেকদিন। ডায়মন্ডের সাথে মেয়েটির অনেকদিন যোগাযোগ না থাকায় পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। এতে উত্তেজিত হয়ে মেয়েটির প্রেমিক ডায়মন্ড আল আমিনকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে এ সময় ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তোফাজ্জল হোসেন। এতে ক্ষ্দ্ধু হয়ে ঘতক ডায়মন্ড তাকেও কুপিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আল আমিন। পরে স্থানীয়রা তোফাজ্জলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার বেগতিক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত আল আমিন, ঘাতক ডায়মন্ড ও আহত তোফাজ্জল নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাসিন্দা। তারা লুদ্দার পাড়ের ওই কলোনীতে ভাড়া থাকতো ও ফেরি করে মালামাল বিক্রি করতো। প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন