বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে স্মৃতিসৌধসহ সারাদেশ অবরুদ্ধ করা, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং উগ্র সা¤প্রদায়িক অপশক্তির দূরভিসন্ধিমূলক তৎপরতায় নিন্দা জানিয়েছে। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে জনসাধারণের ওপর রাষ্ট্রীয় দমন-নির্যাতন-গ্রেফতার ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন তারা। একইসঙ্গে উপমহাদেশ ঘিরে মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির অপতৎপরতায়ও গভীর উদ্বেগ জানান বাম নেতারা। তারা বলেন, সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সেক্যুলার চিন্তা নিয়ে যে বাংলাদেশের সৃষ্টি সেই দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হিন্দুত্ববাদের শিরোমনি, গুজরাট গণহত্যার প্রধান হোতা নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতা দিবসে সম্মানিত অতিথি করায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ৩০ লাখ শহীদ ও ২.৫ লাখ নারীকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে। যারাই এর প্রতিবাদ করছে সেই বাম-প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্র-যুব সমাজসহ সবার ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে চরম দমন-নির্যাতন ও গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। যা রাষ্ট্রের স্বৈরাচারি ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের উগ্র সা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি ও আরএসএস নেতা নরেন্দ্র মোদিকে তাদের দেশের হীন নির্বাচনি এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ব্যাবহার করারও কঠোর সমালোচনা করেন বাম জোট। নেতারা, প্রতিবাদী মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় ও সরকার দলীয় দমন-নির্যাতন বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
বিবিৃতিতে স্বাক্ষর করেন- বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন