বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

শ্রীপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট ক্রেতাদের পছন্দ ছোট ও মাঝারি আকারের গরু

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শ্রীপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাটগুলো। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে গরু-ছাগলের বেচা-কেনা। সাধারণ গৃহস্থ ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বেপারিরা। তবে এ বছর বড় গরুর চাহিদা মন্দা। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের স্বাস্থ্যবান গরু। শ্রীপুরের হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় ভালো দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারিরা। দাম একটু চড়া হলেও পছন্দমত গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারাও। শ্রীপুরের প্রধান পশুর হাটগুলো হচ্ছেÑ শ্রীপুর সদর, বরমী, কাওরাইদ, মাওনা, গোসিংগা, লতিফপুর, রাজাবাড়ী, লোহাই, গাজীপুর, লোহাদি বাজার। নিয়মিত এ হাটগুলোর পাশাপাশি কুরবানি উপলক্ষে বসেছে আরো অস্থায়ী অসংখ্য গরু-ছাগলের হাট। স্থায়ী-অস্থায়ী এসব হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি, ব্যাপারি ও গৃহস্থরা ভিড় করছেন গরু-ছাগল কেনা-বেচার জন্য। বিশেষ করে গত ৩-৪ দিন পশুর হাটগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শ্রীপুর, মাওনা ও বরমী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট-বড়, মাঝারি বিভিন্ন আকারের অসংখ্য গরু উঠেছে। কুরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের গরুটি কেনার জন্য। অধিকাংশ ক্রেতা বাড়ি ফিরছেন কোরবানির গরু কিনে। কেউ কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য। শ্রীপুর হাটে কথা হয় লোহাগাছ গ্রামের আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাটে পছন্দের গরুর অভাব নেই। তিনি তার সাধ্যের মধ্যে ৫০ হাজার টাকায় মাঝারি আকারের একটি ভালো ষাঁড় গরু কিনেছেন। গত বছর এ ধরনের গরু ৪৪-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তিনি জানান, এবার ভারতীয় গরুর চাপ কম থাকায় দেশি গরুর দাম একটু বেশি। বরমী বাজার হাটে কথা হয় পটকা গ্রামের ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, হাটে ৭০-৮০ হাজার থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা দামের অনেক বড় বড় গরু এসেছে। এলাকার অনেকে ভাগে এ ধরনের গরু কিনে কোরবানিতে শরিক হচ্ছেন। কিন্তু ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যগত নানা বাধার কারণে তিনি অংশীদার হয়ে বড় গরু কেনার পক্ষে নন। যে কারণে একাই ২৫ হাজার টাকায় কোরবানির জন্য একটি গাভী গরু কিনেছেন। এ ধরনের অসংখ্য ক্রেতাকে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনে তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন। শ্রীপুর সদর, গোসিংগা ও বরমীর গরু বিক্রেতা ও খামারিরা জানান, এবার হাটে ছোট ও মধ্যম সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। এ ধরনের গরু এনে তারা ভালো দাম পেয়েছেন। কিন্তু ক্রেতাদের কাছে বড় গরুর চাহিদা নেই।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জলিল জানান, এ বছর উপজেলায় গরু ও ছাগলের মোট খামারের সংখ্যা ৪ হাজার ৫শ’টি। যার মধ্যে গরু ৩ হাজার ৫শ’ এবং ছাগল ১ হাজার ৫শ’টি। কোরবানির জন্য প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি গরু প্রস্তুত রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে এসব খামারে কেমিক্যালমুক্ত গরু-ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। যা উপজেলার মোট চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন