শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

কুমিল্লার বাজারে বেড়েছে মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কুমিল্লার বাজারগুলোতে এরই মধ্যে দাম বেড়ে গেছে মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। ঈদ এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর অসাধু পন্থা দেখা দেয় বাজারগুলোতে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাজারের গ্রোসারি দোকানগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। ঈদের রান্নার বিশেষ অনুষঙ্গ ভোজ্যতেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, এলাচির দাম বেড়েছে। গতকাল নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, তেরিপট্রি, রাণীরবাজার, বাদশা মিয়ার বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চিনি, ভোজ্যতেল, চিকন চাল এবং গরম মসলার মধ্যে জিরা, এলাচি ও গোলমরিচের দাম বেড়েছে। ঈদ এলেই ব্যবসায়ীরা মসল্লার দাম বাড়িয়ে দেন। আর দর বাড়ানো নিয়ে নানা অজুহাত দেখান। রোজা ও কোরবানির ঈদ ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াটা এক ধরনের কালচারে পরিণত হয়েছে। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা না থাকায় সবশ্রেণীর ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসে দোকানিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে প্রয়োজনীয় মসল্লার দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছে। চকবাজারে মসল্লা কিনতে আসা নগরীর গাংচরের গৃহবধূ নাসরিন আখতার বলেন, ‘এবারেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসল্লার দাম বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে এতোটা বেশি ছিল না। বিশেষ করে মাংস রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় গরম মসলার দাম বাড়ানো হয়েছে। এভাবে প্রয়োজনীয় মসলার দাম বাড়ালে সাধারণ পরিবারের জন্য বিষয়টি ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসন ভেজাল পণ্য ধরতে মোবাইলকোর্ট চালায়। কিন্তু বাজারে যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঈদ এলেই ব্যবসায়িরা বাড়িয়ে দেয় সেইদিকে কোন নজরদারি নেই।’ ক্রেতারা মনে করছেন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলে দাম বৃদ্ধির কালচার বন্ধ হবে। এদিকে কোরবানির মাংস কাটাকুটির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দা, বঁটি, চাপাতি, ছোরার দাম গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ দরে বিক্রি হচ্ছে কামারশালাগুলোতে। দোকানিরা জানান, কাঁচা লোহা, কয়লাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম এবং কারিগর মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এসব সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চকবাজারের বাঁশ-বেত দোকানিরাও কোরবানির এ সুযোগে মাংস রাখার জন্য চাটাই, হুগলা, টুকরির দামও বাড়িয়েছে। দোকানিরা বলেন, বছরের এ সময়ে ওইসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদকরা নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে দাম বেশি নেয়ায় তারাও বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি নিয়ে থাকেন। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘রোজা, ঈদ উৎসব এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াটা অসাধুপনায় পরিণত হয়েছে। নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তসহ সবশ্রেণীর ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলে দাম বৃদ্ধির অসাধুপনা বন্ধ হবে’।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন