অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ভ্যাকসিনের জন্য টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, তাই ভ্যাকসিন না পাওয়ারও কোনো কারণ নেই। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কর্মসূচি যথাসময় অনুযায়ী চলবে। বুধবার (৩১ মার্চ) অনলাইনে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম সভায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মাঝে এই সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটু আগে আমরা মিটিংয়ে ছিলাম। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি এ ধরনের কোনো আশঙ্কা প্রকাশ করেননি। সরকার ইতোমধ্যে ভারতের কোম্পানিকে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। তাই ভ্যাকসিন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারের ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কিছু উদ্যোগের কথা বলেছেন। এসব উদ্যোগে করোনা কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে এখন ভ্যাকসিন দেয়া চলছে। আমরাও ভ্যাকসিন দিচ্ছি। ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলে করোনার প্রভার কমে আসবে বলে আশা করছি বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভারত থেকে ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারতের এম এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এ চাল কিনবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও ক্রয় কমিটিতে আরও ৭টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের মাধ্যমে ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের মুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প। মেশিন কিনতে ব্যয় হবে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৮২ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতু এবং গোমতী সেতুর টোল আদায় কাজে নিয়োজিত সার্ভিস প্রোভাইডার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ১০টি ১২ টন বোলার্ড পুল টাগবোটসহ খুচরা যন্ত্রাংশ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের কাছ থেকে সরাসরি কিনবে সরকার। খরচ হবে ১৬৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (বিওজিসিএল) এর অধীন বসুন্ধরা বিটুমিন/অ্যাসফল্ট প্রোডাকশন প্ল্যান্ট, কেরানীগঞ্জ ঢাকার কাঁচামাল হিসেবে জি টু জি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকুর কাছ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল কিনবে সরকার। ব্যয় হবে ৪৩১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৯০ কোটি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৫০ টাকায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে কেনা হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (জেএফসিএল) জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জার্মানির কাছ থেকে কিনবে সরকার। ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ১৩৫ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন