শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই লকডাউন : অর্থমন্ত্রী

অর্থ ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১৫৬৭ কোটি টাকার ৬ প্রস্তাবে অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ৬:২৭ পিএম | আপডেট : ৬:৪২ পিএম, ৭ এপ্রিল, ২০২১

ফাইল ছবি


করোনা প্রতিরোধে জনগণের সেফটি সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখেই লকডাউন দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষের যেন ক্ষতি না হয় আমরা সব সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। বুধবার (৭ এপ্রিল) অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, অর্থমন্ত্রী হিসাবে তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের যে সমস্ত কারণে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। জনগণের সেফটি সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টা আমার নয়, তাই সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। দেশের মানুষের যেন ক্ষতি না হয় আমরা সব সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রনোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সবগুলো প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছে। আমরা শুধু তার হয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করেছি।

বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। বিশ্বব্যাংক আমাদের সম্পর্কে বেশ উচ্ছসিত ধারনা দিলো, এর সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল আছে আমাদের। মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। আমাদের থিউরেটিক্যাল আসপেক্টে না গিয়ে প্রাকটিক্যাল আসপেক্টে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন যাতে আরো বেশি বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিলো সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা টাইম টু টাই প্রজেকশন করি বাস্তবায়ন কতটুকু হলো। কিন্তু তারা কিছু পসিবিলিটি ও এজামপশনের উপর ভিত্তি কর প্রজেকশনটা করে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না। আমরা বেশি চাল কিনবো না, বেশি কিনলে আমাদের কৃষক স¤প্রদায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আবার গমও বাড়তি কিনব না যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা কাজগুলো করে থাকি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১২তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি ক্রয় প্রস্তাবে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদফতরের অপর একটি প্রস্তাবে পুনঃদরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ অনুমোদিত ৬ টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ টাকা।

তিনি বলেন, বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতর থেকে মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড এর কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪১১ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেই চাল কি ঠিকমতো দেশে ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চাল আমাদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোন সাপ্লাইয়ার তা সময় মতো দিতে পারে না তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে একদম ইন্টিগ্রিটেড ওয়েতে দেখে কি পরিমাণ চাল দরকার। এগুলো নির্ধারন হয় আমাদের প্রয়োজন এবং আমাদের আগামির প্রয়োজন। আমাদের নেক্সট ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।

এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতর থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জি টু জি পদ্ধতিতে ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশনের অব ফার্মাস প্রকিউরমেন্ট প্রসেসিং এ্যান্ড রিটেলিং কো অপারেটিভ লিমিটেড (এনএসিওএফ) থেকে এখ লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন