মিসরে হাজার হাজার বছর পুর্বের রাজকীয় মমিগুলোকে নতুন এক জাদুঘরে স্থানান্তর উপলক্ষে চোখ ধাঁধানো আর জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মমিগুলো অভিবাদন ও শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার রাতে রাস্তার দুপাশে জড়ো হয়েছিলেন হাজারও মানুষ। এ আয়োজনে ব্যয় হয়েছে কয়েক মিলিয়ন ডলার। সমগ্র আয়োজনটিতে অংশ নেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। কায়রোর মিসরীয় জাদুঘর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দ‚রে মিসরীয় সভ্যতার ওপর নির্মিত নতুন একটি জাদুঘরে মমিগুলো স্থানান্তর করা হয়। মমিগুলোর মধ্যে প্রাচীন মিসরীয় ১৮ রাজা ও ৪ রানী রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রাজা দ্বিতীয় রামসেসের মমিও রয়েছে। আয়োজকরা জানান, দ্বিতীয় রামসেসের মমি নিয়েই জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। কেননা, তিনি ৬৭ বছর শাসন করেছেন এবং নিউ কিংডমে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় ফারাও। বলা হয় যে, তিনিই প্রথম কোনও শান্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন। আরেকজন রানী হাটসেপসুট। ওই সময়ে কোনও নারীর ফারাও হওয়ার প্রথা না থাকলেও তিনি শাসক হয়েছিলেন। শোভাযাত্রায় প্রতিটি মমিকে নেয়া হয় বাহারি একেকটি যানে। আর মমিগুলো রাখা হয় নাইট্রোজেন-ভর্তি বিশেষ বাক্সে। যাত্রাপথে মমিগুলো যাতে কোন ধরনের ঝাঁকুনি না খায়, সে জন্য নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া মমিগুলো নিয়ে যাওয়ার পথটিও মসৃণ করে তোলার জন্য ভালোভাবে মেরামত করা হয়। মমি বহনকারী গাড়িবহরগুলোর নিরাপত্তায় ছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। সে সাথে ছিল ঘোড়ায় টানা রথের রেপ্লিকাও। আল-জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন