বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্পৃক্ত হওয়া এবং পারস্পরিক সুবিধা অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় তিনি মিশরীয় ব্যবসায়ীরা যাতে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্য সংযোজিত ও নন-কটন টেক্সটাইলসহ সম্ভাব্য খাতগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত মিসরীয় রাষ্ট্রদূত হাইথাম ঘোবাশিকে অনুরোধ জানান।
গত বৃহস্পতিবার গুলশানস্থ বিজিএমইএ পিআর অফিসে বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে পছন্দ করার বিষয়ে বাংলাদেশের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ, শক্তি ও সক্ষমতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার গৃহীত মেগাপ্রকল্পগুলো, যেগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এসময় রাষ্ট্রদূত হাইথাম ঘোবাশি মিসরের টেক্সটাইল খাতে যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিজিএমইএ’কে অনুরোধ জানান।
এছাড়া তিনি উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ এবং দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশ কিভাবে অর্থপূর্ণভাবে সহযোগিতা প্রদান করতে পারে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ তার পোশাক শিল্প এবং টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটাতে মিশর থেকে কিভাবে আরও কাঁচাতুলা আমদানি করতে পারে, সে বিষয়টি নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
এ সময় বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ আশরাফ, ব্যারিষ্টার ভিদিয়া অমৃত খান, সাবেক পরিচালক ইমরুল আনোয়ার লিটন এবং ঢাকাস্থ মিশর দূতাবাসের কর্মকর্তা প্রীতি আলী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন