শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনার সংক্রমন পরিস্থিতি: পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সৈকত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২১, ২:২২ পিএম

করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবারও দেশে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে এখন বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। পর্যটন স্পট গুলোও রয়েছে ফাঁকা। কোথাও নেই পর্যটকের কোলাহল। সৈকতের জিরো পয়েন্টের পুর্ব-পশ্চিমে বালিয়ারী ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ছে না। পর্যটক না থাকায় বন্ধ রয়েছে হোটেল-মোটেল খাবার রেষ্টুরেন্টগুলো। চিরচেনা কুয়াকাটা, এখন যেন স্থানীয়দের কাছেই অচেনা লাগছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে আরারও বাড়ছে করোনার সংক্রমন। প্রতিদিনই ভাঙছে রেকর্ড। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশের ন্যায় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। একই সাথে হোটেল-মোটল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১এপ্রিল) থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য এ আদেশ বলবৎ থাকবে। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকার জন্য আগত পর্যটকদের স্ব-স্ব বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর পর থেকেই পর্যটক শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। নেই কোথাও আলোক সজ্জা। মানুষ না থাকায় সন্ধ্যার পরে সৈকতে নামলে গা ছম ছম করে এমনটই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ট্যুরিজম ব্যবসায়িরা জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকতে মাইকিং করার পর সকল ট্যুরিজম অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের ভ্রমন তরীগুলো ঘাটে বাঁধা রয়েছে। কুয়াকাটা ইলিশ পার্ক এন্ড রিসোর্ট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনার পর প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সাথে পার্ক এন্ড রিসোর্ট’র কর্মচারীদের ছুটি দেয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দীর্ঘ ১৫ দিন পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা আবারো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সৈকতে অবস্থানরত ট্যুর অপারেটরসহ স্বল্প আয়ের মানুষগুলো।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরই আবাসিক হোটেল বন্ধ রেখেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ সিনিয়র এএসপি সোহরাব হোসাইন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সমূদ্র সৈকতসহ পুরো পর্যটন এলাকা পর্যটক ও দর্শনার্থী শূন্য রাখা সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে কুয়াকাটায় কোন পর্যটক নেই। এখানকার হোটেল-মোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত হোটেল মোটেলে বুকিং না রাখার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় দোকান মালিক,পরিবহন শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও জনগনের মধ্যে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমে পুলিশের মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন