শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

গফরগাঁওয়ে জমে উঠেছে ঈদবাজার

প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ : গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আবহমান গ্রামবাংলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ, লবণ, খোলা সয়াবিন, চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকতেই হু হু করে বেড়েই চলছে। এতে করে মধ্য ও নি¤œবিত্তদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত ১০-১৫ দিন আগে মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা ছিল। এখন বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকার ওপরে। এছাড়া ৫০ কেজি প্রতি বস্তা চাল ২০০-৩০০ বেড়ে গেছে । গফরগাঁও-শিবগঞ্জ রোডের চাল মহলের মেসার্স খান রাইস স্টোরের মালিক মো: মজিবর খান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মিল মালিক ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কৃত্রিম সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। ফলে বেশি দামে চাল ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে নি¤œশ্রেণীর দিনমজুররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অসাধু মজুদদারী চাল ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, কিছু অসাধু মিল মালিক ইরির মোটা চালকে কৃত্রিমভাবে মেশিনে রিফাইন বা সুটার করে চিকন নাজির চাল বলে বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছে। ঈদের আর কয়েক দিন বাকি থাকলেও মনোহারি দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। হরেকরকমের মসলা, তেল, চিনিসহ অন্যান্য উপকরণ ক্রয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে নারীরা এখন ভালো মানের সব ধরনের গোশত বা গোশতের মসলা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গফরগাঁও কলেজ রোডের বিশিষ্ট মনোহারি দোকান মামুন স্টোরের মালিক মো: মোস্তফা জানান, এবারের ঈদে মসুর ডাল ও সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপড়ের দোকান ও জুতার দোকানে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত হরদম লোকজনের আনাগোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার গ্রামবাংলার জনপথ। অনেকেই আবার বছরে একবার শুধু কোরবানি ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসে নাড়ির টানে। গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে প্রচুর গরু-ছাগল বেচা কেনা হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন