রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. বাবলু (৩২) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। গত শনিবার মধ্যরাতে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। নিহত বাবুল দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর জেলে পাড়ার ৩৪/৪ নিজেদের বাসায় থাকতেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
নিহতের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম জানান, নিহত বাবলু পেশায় স্টিলের আসবাবপত্র তৈরির কারিগর ছিলেন। তার একটি কারখানা ছিল। বছর খানেক আগে তার বাবা-মা মারা যান। এছাড়া করোনার কারণে ব্যবসা ভালো না থাকায় কারখানটি ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ করতেন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই নিজাম বলেন, আমরা ৩ ভাই ইফতার করতে পাশেই বোনের বাসায় যাই। পরে আমরা সবাই বোনের বাসা থেকে চলে আসি। আমার মেজো ভাই সুমন স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে। আমার ২ ভাই মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করত। এ নিয়ে কাকন, সুজন, রতন ও আরিফসহ আরও অনেকে আমার ভাইদের পছন্দ করত না। আমার ভাই বলেছে, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসা চলবে না। এ নিয়ে ৭০-৮০ জন শহীদ ফারুক সড়কে এসে আমার ভাইয়ের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ও পিটিয়ে যখম করে। তারা চাপাতি, স্ট্যাম্প নিয়ে ভাইয়ে ওপর হামলা চালায়। কাকনের হাতে পিস্তলও ছিল শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, বাবুলের চিৎকার শুনে রাস্তার ওপারে থাকা আমার মেজো ভাই ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। রাত পৌনে ২টায় বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার অবস্থা খারাপ হলে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াই কাল হলো আমার ভাইয়ের। আমার ভাইয়ে হত্যার বিচার চাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় রতন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে র্যাব, পুলিশ ও সিআইডির ফরেনসিক টিম গিয়েছে। তারা তদন্ত করছে। যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছুরিকাঘাতে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় রতন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন