শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

দিরাইয়ে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজার, বিক্রি বেড়েছে দেশি গরুর

প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা : পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই জমে ওঠেছে দিরাইয়ে গরু বাজার, তবে জমেনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসাগুলো। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র দিরাই পৌর সদরে অবস্থিত দিরাই বাজার এ এলাকার প্রাচীনতম ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বাজারটিকে বিভক্ত করেছে একটি মাত্র খাল, তবে তার ওপর রয়েছে উভয় বাজারে সংযোগ স্থাপনকারী সেতু। মূল বাজার পড়েছে সেতুর দক্ষিণপাড়ে, আর উত্তর অংশে সা¤প্রতিককালে গড়ে ওঠেছে আধুনিক বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। তবে উভয় অংশের বাজারই জমজমাটভাবে চলছে। জানা যায়, মূল বাজারে বেশকিছু বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট থাকায় লোকজন এখানে আনাগোনা বেশি হয়। কিন্তু এবারের ঈদে ব্যবসায়ীদের বিরাট ধস নেমেছে। কারণ, হাওরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা হচ্ছে কৃষি, আর সেই কৃষির ফসল ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের হাতে টাকা নেই। ফলে পবিত্র ঈদুল আজহাসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির সময়ও ব্যবসায় মন্দা চলছে। বেশ কয়েকটি বিপণি বিতান ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য সময়ের চেয়েও ব্যবসা মন্দা রয়েছে, এছাড়া কোরবানি উপলক্ষে মসলার বাজারও জমজমাট নয়। বিক্রেতারা পণ্য নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। বাজারের মসলা ব্যবসায়ী রশিদ মিয়া জানান, শনিবার দিরাই পৌর শহরের বাজার হলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি দাবি করেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় মসলার বাজার দাম কম। বাজারে আদা ১শ’ থেকে ১৪০ টাকা, লং ও এলাচি ৯শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা, জিরা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দারুচিনি ২৫০ থেকে ৩শ’ টাকা ও গোলমরিচ ১ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে দিরাই পৌরশহরে অবস্থিত গরুর বাজার প্রথমদিকে না জমলেও শেষ সময়ে এসে তা জমতে শুরু করেছে করেছে। শুক্রবার গরুর হাটে অন্যান্য বাজারের চেয়ে অধিক গরু বিক্রি হয়েছে। বাজার ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সারাদিনে প্রায় ৬শ’ গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। ঐদিন সর্বোচ্চ দামে একটি গরু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়, যা ইসলামিক রিলিফ তাদের পরিচালনাধীন এতিম শিশু ও উপকারভোগীদের মধ্যে ঈদের দিন কোরবানির গোশত বিতরণ করা হবে।
এছাড়া একটি খাসি বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকায়। যা এ পর্যন্ত দিরাই গরু বাজারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানা যায়। ইসলামিক রিলিফ সূত্রে জানা যায়, এ বছর তারা তাদের ৬শ’ উপকারভোগীদের মধ্যে ২ কেজি করে কোরবানির গোশত বিতরণ করবেন, এর মধ্যে এতিম ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ৩শ’। তারা প্রায় ৩ লাখ টাকার মোট ১৫টি গরু এ বছর দিরাইয়ে কোরবানি দিবেন বলে জানান ইসলামিক রিলিফের উপজেলা ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম। তবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ গরু বাজারের শেষ দিনে আরো বেশি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী এবং ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, অনেকেরই গরু রাখার জায়গা না থাকায় উপস্থিত সময় অর্থাৎ ঈদের আগের দিন পছন্দমত গরু কিনে তা কোরবানি দেবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন