করোনাভাইরাস মহামারীকালের প্রথম রমজান যার যার বাড়িতে কেটেছে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির মুসলিম শিক্ষার্থীদের। কারণ সে বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এবার সুযোগ এসে গেছে ক্যাম্পাসে রমজান মাস উদযাপনের।
মুসলিম ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি সুফিয়ান জাকারিয়া বলেন, রমজানে মুসলমানরা দিনভর রোজা পালন করে। মাসটি প্রার্থনা, সংযম ও আত্মশুদ্ধির। ‘অনেক লোক রমজানকে ভালবাসে, কারণ বছরের এই সময় তারা পরিবারকে দেখতে পায়’। তিনি বলেন ‘তারা তাদের ধর্মের নিকটবর্তী হয়। তারা চারপাশের সব কিছুর সাথে আরো ঘনিষ্ঠ হয়’।
জাকারিয়া বলেন, রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। তিনি বলেন, রমজান ঐতিহ্য মুসলমানদের মনে করিয়ে দেয় যে, খাওয়া জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘মুসলমানরা আমাদের এই ধারণায় বিশ্বাস করে যে, আমাদের দুটি জীবন রয়েছে এবং এই জীবনটি অস্থায়ী এবং পরকালীন জীবন চিরকাল বা চিরস্থায়ী’। ‘রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের একজন প্রভু আছেন এবং আমাদের আরো বেশি সময় প্রভুর প্রতি উৎসর্গ করা উচিত’।
জাকারিয়া বলেন, রমজান মুসলমানদের নিজেদের ও অন্যকে ইসলাম সম্পর্কে শেখানোর সময়। এটি একটি শান্তির ধর্ম। তিনি বলেন, ‘যদি অমুসলিমরা প্রকৃত মুসলিম সম্পর্র্কে জানতে পারে বা তারা যদি ইসলামকে বুঝতে পারে তবে তারা বুঝতে পারবে যে, এটি কোনো ভীতিজনক বিষয় নয়, এটি হুমকি নয়, এটি একটি শান্তিপূর্ণ বিষয় এবং আরও কিছু’।
আইইউ’র জুনিয়র ও এমএসএ সভাপতি মরিয়ম হক বলেছেন, এমএসএ পবিত্র মাস জুড়ে বেলা আড়াইটায় ইন্ডিয়ানা মেমোরিয়াল ইউনিয়ন সোলারিয়ামে জুমার নামাজসহ নিয়মিত নামাজের পরিকল্পনা করেছে এবং প্রতি বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত ১০টায় তারাবীহ নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার পরে আইইউতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সংস্থা ও ইউনিয়ন বোর্ডও আলোচনা করবে। জাকারিয়া বলেন, সংস্থাটি ৩০ এপ্রিল আইইউয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সহযোগিতায় প্রতিদিন ইফতারেরও আয়োজন করার আশা করছে।
হক জানান, তিনি প্রথমবারের মতো আইইউ ক্যাম্পাসে রমজান উদযাপন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ধর্মের মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের জন্য মাসটি একটি দুর্দান্ত সময়। ‘এটি আমাদের সকলের একসাথে থাকার এক দুর্দান্ত সুযোগ’ তিনি বলেন। ‘আমাদের পক্ষে কেবল আমাদের ধর্মকেই গড়ে তুলতে নয়, আমাদের বন্ধুদের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ’।
পাকিস্তানি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুবিয়া সোহেল বলেন যে, মহামারী হওয়ার আগে তিনি এক রমজানের সময় পাকিস্তানে এসেছিলেন এবং ব্যাপক জোরশোরে উদযাপন তাকে মুগ্ধ করেছিল। সূত্র : ইন্ডিয়ানা ডেইলি স্টুডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন