বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে পালিত হয় লাইলাতুল কদর
ইনকিলাব ডেস্ক : পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে রমজান মাসে। কুরআন মাজিদে একটি স্বতন্ত্র সূরা রয়েছে ‘আল-কদর’ নামে। এতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের ফযিলত বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে : “নিশ্চয় আমরা তাকে (কুরআন) নাযিল করেছি লাইলাতুল কদর (মর্যাদাসম্পন্ন রাত)-এ। আর লাইলাতুল কদর সম্পর্কে তুমি কী জান? লাইলাতুল কদর হচ্ছে হাজার মাস (এর ইবাদত) অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে তাদের রব্বের অনুমতিক্রমে জিব্রাঈল আমীন (আঃ) এবং ফেরেশতা প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। (এ রাতে বিরাজ করে) শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।”
আর হাদীস শরীফে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়ামুল্লাইল করবে তার জীবনের পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে’।
মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের শেষ দশকে বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোয় লাইলাতুল কদর সন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই আবার বিশেষ করে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতকে শবে কদর বলে চিহ্নিত করে নিয়েছেন। সারা বিশ্বের মানুষ লাইলাতুল কদর পাবার জন্য এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী তিলাওয়াত ও দোয়া-দরূদ পাঠে মগ্ন থাকেন। অনেকে শেষ দশক ইতেকাফে বসেন। আর কেউ কেউ বাহ্যিক সাজসজ্জার মাধ্যমে লাইলাতুল কদর বা শবে বরাতকে প্রকাশের চেষ্টা করেন। যেমন পাকিস্তানের লাহোরের কথাই ধরা যাক। ২৬ রমজান দিবাগত রাত ছিল অনেকের কাছে লাইলাতুল কদর। সে দিবসকে সামনে রেখে সাজানো হয় লাহোরের ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদ। আর রাতে সবাই এ মসজিদে জাগরণ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টায় ইবাদতে মশগুল থাকেন। সূত্র : দি নেশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন