মহানবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি দিনমান রোজা শেষে ইফতারের সময় এবং অন্যটি যখন রোজাদার তার প্রভুর সাথে মিলিত হবে’। হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আদম সন্তানের সব আমলের সওয়াব দশ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত প্রদান করা হয়। আল্লাহ আজ্জা ও জাল্লা বলেন, কিন্তু সিয়াম (রোজা) ব্যতিক্রম। এটা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দেব’। (সহীহ মুসলিম)। এর অর্থ কিয়ামত দিবসে আদম সন্তান যখন আল্লাহ তা‘আলার সাথে মিলিত হবে তখন আল্লাহ তাকে অফুরন্ত দানে সন্তুষ্ট করে দেবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় বছরেও আনন্দঘন পরিবেশে সম্মিলিতভাবে ইফতার করা বা সিয়াম পালনকারীদের ইফতার করানো হয়ে উঠছে না। মানুষ গৃহবন্দি থাকায় অধিকাংশই ঘরোয়া পরিবেশে ইফতারে বাধ্য হচ্ছেন। মসজিদের বারান্দায়, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বা খোলা স্থানে ত্রিপল টানিয়ে ইফতারের কালচার যা দু’বছর আগেই পৃথিবীর নানা প্রান্তে দেখা গেছে তা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। তবে অনেকেই প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে একাকি ইফতার করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেমন দেখা গেল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ঐতিহাসিক সুলতান আহমেদ মসজিদ চত্বরে। এর অঙ্গণে দূরত্ব বজায় রেখে ইফতার করছেন এক মহিলা। এসময় এপির পক্ষে এমরাহ গুরেল ছবিটি ফ্রেমবন্দি করেন গত পহেলা রমজান। নীল মসজিদ হিসেবে সাধারণ্যে বেশি পরিচিত এই মসজিদকে রমজান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আলোকমালায় সজ্জিত করা হয়েছে। এককালে এই মসজিদ চত্বরে ইফতারের জন্য মানুষের ভিড় জমে যেত। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনার কারণে সেই জনসমাগম এখন আর নেই বললেই চলে। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন