ইউরো-২০২০ এ ওয়েলস দলকে পরিচালনার শেষ প্রস্তুতিটাই হয়তো নিচ্ছিলেন। তবে প্রতিযোগিতার তিন মাস বাকি থাকতে রায়ান গিগস জানলেন, আসন্ন টুর্নামেন্টে দলের ডাগআউটে থাকা হচ্ছে না তার। কারণটা অবশ্য খুবই অপ্রীতিকর, দুই নারীকে লাঞ্ছনার দায় এসে পড়েছে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার কাঁধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, গত নভেম্বর মাসে স্যালফোর্ডে একজন নারীকে তিনি শারীরিক নির্যাতন করেন, যার বয়স ৩০। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা অন্য নারীর বয়স ২০ এক কোটায়, সে অভিযোগে অবশ্য শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ নেই, বলা হয়েছে আক্রমণের কথা।
গিগসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালে আরও দুটো অভিযোগ এসেছিল তার নামে। সেবারের অভিযোগ ছিল জবরদস্তিমূলক আচরণের। তবে সর্বশেষ অভিযোগের পরই জামিনের সফল এক আবেদন করেছেন তিনি। মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল ম্যানচেস্টার ও স্যালফোর্ডের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে গিগস অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন গিগস। নিজেকে নির্দোষ দাবী করে তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে আমার আর অভিযোগগুলোর গুরুত্বও ভালোভাবে বুঝতে পারছি আমি। আদালতে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করব।’এদিকে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আসার পরই তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছে ওয়েলস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জানিয়েছে, আসন্ন ইউরোয় দলকে পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে তার সহকারী কোচ রবার্ট পেজ। তার জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন গিগস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন