সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট বোন তাহেরা বেগমের বাসভবনে ককটেল হামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। গত শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মন্ত্রীর ছোট বোনের বাসা তাহেরা মঞ্জিল লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন।
তাহেরা বেগম জানান, তার বড় ছেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। উপজেলা আ.লীগের রাজনীতি নিয়ে তার বড় ছেলের সাথে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সাথে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে মির্জা কাদেরের কয়েকজন অনুসারী এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজে আমরা বাসার ভিতরে সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে হুমায়ন রশীদ মিরাজ জানান, আমার বড়ভাই ঢাকায় অবস্থান করছে। বাসার ভিতরে মা, আমি এবং আমার স্ত্রী ছিল। রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে মির্জা কাদেরের অনুসারী বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কেচ্ছা রাসেল, সাজু, দীপক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিসানসহ ১০-১৫ জন আমাদের বাসার পিছন থেকে বাসা লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালায়। এ সময় তারা বিকট শব্দে ১৫ টির মতো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাসার ভিতর থেকে জানালা দিয়ে কয়েক জনকে দেখতে পাই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে, সেতুমন্ত্রীর ছোট বোন তাহেরা বেগমের বাসায় ককটেল হামলার ঘটনায় অবিস্ফোরিত ৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তারা পানির বালতির মধ্যে ডুবিয়ে ককটেলগুলো নিস্ক্রিয় করে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কোর্ট বিল্ডিং সংলগ্ন ওই বাসার পাশ থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন