নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের চলাচলের পথ আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিলো। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবরুদ্ধ স্কুল শিক্ষককে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ নজরে আসে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের। সোমবার দুপুরে সরেজমীনে গিয়ে ওই স্কুল শিক্ষকের চলাচলের পথ খুলে দিয়েছেন ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন।
ভুক্তভুগি শিক্ষক আবুল বাশার জানান, তিনি উপজেলার মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বাবা মকবুল হোসেনও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। গত ১৭ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করেই চলাচলের পথটি বাঁশের বেড়ায় আটকে দেন প্রতিবেশি মজিবর ও তার ছেলে মুস্তা। বেড়া টপকে বেড় হলে হত্যা করা হবে এমন হুমকি দেওয়ায় তারা প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। প্রতিবেশি মজিবর প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছিলেন না তিনি ও তার পরিবার। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সরেজমীনে এসে তার ও তার পরিবারকে উদ্ধার করার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখার পরেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষক ও তার পরিবার কে উদ্ধার করেন। তারা এখন স্বাভাবিক জীবন-যাপন করবেন। এছাড়াও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন