ভারত থেকে আমদানি করা চালের একটি অংশ একেবারেই খাওয়ার অযোগ্য। বগুড়ার সান্তাহার জংশনে আসার পর ৬টি ওয়াগনভর্তি ৩৫৪ মেট্রিক টন চাল খালাস বন্ধ করে দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। এসব চাল খালাস করা হবে নাকি ভারতে ফেরত পাঠানো হবে তা পরিস্কার নয়। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের সিদ্ধান্ত ছাড়া ৬টি ওয়াগন পড়ে থাকবে।
স্থানীয় খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সান্তাহার জংশনে ৬টি ওয়াগনভর্তি ভারত থেকে আমদানি করা এসব চাল একেবারেই নিম্নমানের ও খাওয়ার অযোগ্য। প্রায় চার দিন ধরে ওই ৬টি ওয়াগনভর্তি চাল সান্তাহার জংশনের খালাস পয়েন্টে রাখা হয়েছে।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান ইনকিলাবকে জানান, আমদানি করা চালের মধ্যে ৬টি ওয়াগনে মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ চালের পরিমাণ বেশি হওয়ায় খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণত চাল গ্রহণের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন শতাংশ মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ গ্রহণের বিধান থাকলেও ওইসব ওয়াগনে থাকা চালে এর পরিমাণ অনেক বেশি। বিষয়টি খাদ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ চালের নমুনা খাদ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ওই ৬টি ওয়াগনের চাল খালাস বন্ধ থাকবে।
বগুড়ার সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষাণাগার (সিএসডি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে জি টু জি চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ট্রেনে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত গত ৩ এপ্রিল ভারত থেকে ট্রেনে বাংলাদেশের দর্শনা হয়ে পাঁচটি পর্যায়ে ২০৫ ওয়াগন চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
দর্শনা থেকে চাল সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষাণাগারে (সিএসডিতে) মজুদ করার জন্য সান্তাহার জংশনে নিয়ে আসা হয়। ভারত থেকে আমদানি করা চালের পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। এসব চাল পরীক্ষা করার পরই সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষাণাগারে মজুদ করে রাখা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত আট হাজার ৩৭৬ মেট্রিক টন চাল ওয়াগন থেকে খালাস করা হয়েছে বলে সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থাপক দুলাল হোসেন জানিয়েছেন। এ মধ্যে ৬টি ওয়াগনের মড়া, বিনষ্ট ও বিবর্ণ চাল চাল খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে। চালের পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ঢাকা থেকে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ৬টি ওয়াগনের চাল সান্তাহার জংশনের খালাস পয়েন্টে পড়ে থাকবে। আর ওয়াগনগুলোর দেখভাল করতে রেলওয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন