চলমান করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ লাখ দরিদ্র পরিবার প্রথম ধাপে নগদ সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৫১৫ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে আগামী ২ মে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল সেবার মাধ্যমে ওই অর্থ বিতরণ করা হবে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দরিদ্র পরিবারগুলো অন্তত ঈদের আগেই তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য বা ওষুধের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন সেজন্যই প্রথম পর্যায়ে ওই নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
করোনা সংক্রামণের প্রথম ঢেউয়ে ২০২০ সালের ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে ২ হাজার ৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছিলেন। অতপর গত ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নিম্নআয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার ও স¤প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক লাখ কৃষকসহ ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে জানান, গত ৪ এপ্রিলের ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ ও ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে এক লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সুত্র জানায়, নগদ সহায়তার তহবিলের মধ্যে, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী ও অটোমোবাইল শ্রমিকসহ ৩৫ লাখ দরিদ্রকে প্রায় ৮৮০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এক লাখ কৃষককে অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে সরকার তাদের জন্য এককালীন নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ঈদুল-উল-ফিতরের আগেই ঝড় ও লু হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষককে সরকার পাঁচ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন