শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০তম সুবর্ণ জয়ন্তী বার্ষিকীতে ন্যায্য পাওনা চাইতে গিয়ে বাঁশখালীতে গুলি খেয়ে জীবন দেয়ার মত ঘটনা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। বাঁশখালীতে শ্রমিকদের বেতন চাওয়ায় তাদের গুলি করে হত্যার মতো ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি জীবন যাত্রার ব্যয় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধির পরেও দেশের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে নামে মাত্র মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে।
আজ শনিবার বাদ আসর পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যোগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল শহিদুল ইসলাম কবির, মুফতী মোস্তফা কামাল, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা শাহ জামাল, মুফতী ছিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক যশোরী।
নেতৃবৃন্দ সরকার ৫০ লাখ মানুষকে প্রণোদনা আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। সে তালিকায় দেশের শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনাসহ সকল ধরণের সহযোগিতার করার দাবি জানান।
হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত জনগণের পাশে সরকারসহ দেশের বিত্তবানদেরকে দাঁড়াতে হবে। করোনার ফলে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজ কর্ম সচল না থাকায় এ শ্রেণির মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। সরকারের প্রণোদনায় শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, খেটে খাওয়া শ্রমিকরা অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন