জস বাটলারের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে দারুণ পারফর্ম করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাতে এই আইপিএলে সাত ম্যাচে তৃতীয় জয় পেলো রাজস্থান রয়্যালস। গতকাল দিল্লির অরুণ জেট লি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে ৫৫ রানে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে সাত ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সাত থেকে পাঁচ নম্বরে উঠে গেলো রাজস্থান। সমান খেলে মাত্র একটি জয়ে হায়দরাবাদ আছে সবার শেষে। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেরা তিনে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৮ পয়েন্ট নিয়ে মোস্তাফিজদের উপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ফিজের হাতে পতন হায়দরাবাদের উদ্বোধনী জুটি। মানীষ পান্ডের প্যাডে লেগে স্টাম্প ভাঙলো। দ্বিতীয় স্পেলে মোহাম্মদ নবী এক্সট্রা কাভার দিয়ে বল মারলেন, অনেক উঁচুতে উঠে বল সহজেই বন্দি হলো অনুজ রাওয়াতের হাতে। আগের ওভারে জোড়া উইকেট নেওয়া ক্রিস মরিস লং অফে নিলেন রশিদ খানের ক্যাচ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে মুস্তাফিজের শিকার ৩ উইকেট। সমান তিন উইকেট পেয়েছেন মরিসও, কিন্তু চার ওভার শেষে রান দিয়েছেন ২৯। বাংলাদেশি ও দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ ২২১ রানের কঠিন লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৬৫ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মানীষ। দ্বিতীয় সেরা ৩০ রান আসে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে।
এর আগে হায়দরাবাদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রান পাহাড় গড়ে রাজস্থান। যাতে সবচেয়ে বড় অবদান বাটলারের। ডানহাতি ইংলিশ ব্যাটসম্যানের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২২০ রান করে প্রথম আসরের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। এটি এই আসরের দ্বিতীয় যৌথ সর্বোচ্চ দলীয় রান। ৩৯ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে এই আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন বাটলার। বাকি পঞ্চাশ করতে খেলেছেন আর মাত্র ১৭ বল। ৫৬ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে শতক হাঁকান তিনি। এই আইপিএলে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন বাটলার। তার আগে ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দেবদূত পাডিক্কাল একশ করেন।
আইপিএলে এরআগে গতপরশু দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই সুপার কিংস। মঈন আলী, ফাফ ডু প্লেসিস ও আম্বাত্তি রাইডুর ফিফটিতে মুম্বাইয়ে সামনে ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। জবাবে কাইরন পোলার্ডের তান্ডবে ধোনির দলকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস হারিয়েছে চার উইকেটের ব্যবধানে। ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৩৪ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে জয় নিশ্চিত হয় মুম্বাইয়ের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন