বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রতারক ডা. এস,এম বাদশা মিয়াকে জিঙ্গাবাসাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ভার্চুয়াল আদালতে সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ দেন। আসামি এস এম বাদশা মিয়া (৩৭) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার নূর ইসলামের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস আই আরিফ আসামিকে জিঙ্গাবাসাদের জন্য সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল রোববার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের এস আই মহসীন আলী জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের মতো আরেক শীর্ষ প্রতারক এই বাদশা মিয়া। গত শনিবার সকালে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের শফির মুদির দোকানের পাশ থেকে প্রতারক বাদশাকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে ডা. এস এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল, ডা. মোস্তফা জামান সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সিল, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়াল প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার, প্রধানমন্ত্রীর একান্তু সচিব লেখা অফিসিয়াল নোটপ্যাড, মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার, ভুয়া ওয়ারেন্ট ২৫টি, মসজিদ মাদরাসার নামে চাঁদা আদায়ের বিপুল সংখ্যক ছাপানো রশিদ ও আদায়কৃত নগদ আটষট্টি হাজার টাকাসহ বিভিন্ন ধরণের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর, কখনো ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি, পদোন্নতি, এমন কি- যেকোন মামলার সুরহা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে প্রতারক বাদশার বিরুদ্ধে। বাদশার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। তার বাবা নূর ইসলাম অর্শ্ব পাইলসের হাতুড়ে ডাক্তার। সেই সুবাদে বাদশা নিজেকেও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকে। ভয়ঙ্কর প্রতারক বাদশার প্রধান দুই সহযোগিকেও ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরেকও রিমান্ডে এনে জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পৃথক পৃথক আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। পুলিশ সুপার বলেন, এই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন