পূর্ব সুন্দরবনের দাসের ভারানীতে সোমবার ১১ টায় লাগা আগুন ৩০ ঘন্টা পর নিভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। দুইদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাটের উপ পরিচালক মোঃ গোলাম সরোয়ার তাদের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেয়া যায়, ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় তিনটি দল বনের গহিনে পাইপ লাইন টেনে পানি ছিটানোর কাজ করছে। বন বিভাগ ড্রোনের মাধ্যমে আগুন লাগার স্থান চিহিৃত করছে।
ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা আঃ সাত্তার জানান, আগুন এখন তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আগুনে অল্প কিছু বনভূমি পুড়েছে। তবে সেখানে কোন মূল্যবান গাছ না থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি।
বন এলাকার গ্রামবাসী আফজাল চাফরাশি জানান, ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। পাঁচ একরের মতো বনের লতা পাতা গ্লুম জাতীয় গাছপালা পুড়ে গেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, আগুন লগার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যপারে শরণখোলা রেঞ্জে কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আট কর্মদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ নিরূপণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি ওয়াদুদ আকন জানান, প্রমত্তা ভোলা নদী মরে যাওয়ার পরে লোকালয় এবং বন মিশে গেছে। যত্রতত্র মানুষ সুন্দরবনে প্রবেশ করছে। যার কারণে বারবার সুন্দরবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে চলছে। তাই বন রক্ষার স্বার্থে ভোলা নদী ও এর শাখা খালগুলি খনন করার দাবী জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন