বরগুনায় ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপরহণের পর মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা নিখোঁজ শিক্ষার্থীর স্বজনদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপরহণের ২০ ঘন্টার পর (৪মে) মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম রাজিয়া আক্তার। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের লতাকাটা এলাকার বাসিন্দা মজিবর মুসল্লির মেয়ে। তিনি বগীরহাট পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়রনত। মজিবর মুসল্লি একজন প্রবাসী। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া বেগম জানান, সোমবার শেষ বিকেলে খাদিজা বাড়ি সামনে দাঁড়ানো ছিল। সন্ধ্যার পর ঘরে না ফেরায় মেয়েকে খুঁজতে শুরু করেন । তিনি মেয়েকে না পেয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেন। রাতভর খুঁজেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়।
খাদিজার বড় ভাই রাজিব বলেন, সকাল নয় টার দিকে ০১৭২৪০৯৭৪৫৩ নম্বর থেকে আমার মুঠো ফোনে ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়, বোন খাদিজাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তাকে মুক্ত করতে হলে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে খাদিজাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
তিনি আরো বলেন, খাদিজাকে উদ্ধারে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়েছি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সদর সার্কেলের এসপি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাড়ির পাশের একটি খালি ঘর থেকে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ, তাকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করছি’। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন