পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দি ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সোহরাব হোসেনের ছেলে লুৎফুর রহমান সুফিয়ানকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। গুরতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক পুত্র সুফিয়ানকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার পটুয়াখালী থানায় মামলা হলে পুলিশ গত মধ্যরাতে দু‘আসামীকে সদর উপজেলার মোল্লা স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃত বেল্লাল মৃধা ও হেলাল মৃধাকে পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে ধৃতদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক আমিরুল ইসলাম তাদের জামিনের আবেদন আগামি রবিবার শুনানীর তারিখ নির্ধারন করে উভয়কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ মোঃ মহসিন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের পুত্র লুৎফুর রহমান সুফিয়ান পটুয়াখালী সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সোহরাব হোসেন তার গ্রামের বাড়ি আউলিয়াপুর মোল্লা স্ট্যান্ডে বসতঘর উত্তোলন করছেন। এ কাজে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে একই এলাকায় তার নিকট আত্মীয় ফারুকুল বারির স্ত্রী কুলসুম বেগমের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ধার চাইলে তিনি ওই টাকা দিতে সম্মত হন এবং লুৎফর রহমান সুফিয়ানকে টাকা আনার জন্য পাঠাতে বলেন। লুৎফর রহমান সুফিয়ান ৪ মে মঙ্গলবার আছর নামাজ বাদে পটুয়াখালীর সংশপ্তক লেনের বাসা থেকে মোটর সাইকেলযোগে কুলসুম বেগমের পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে ইফতার শেষে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে পটুয়াখালীর বাসার উদ্দেশ্যে উক্ত কুলসুম বেগমের ঘর থেকে বের হলে একই এলাকার সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান সোহাগ, সোহলে মৃধা, বেল্লাল মৃধা, হেলাল মৃধার নেতৃত্বে ৭/৮ জন সুফিয়ানের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেদম মারধর করে তার সাথে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুফিয়ানের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুমুর্ষু অবস্থায় সুফিয়ানকে পটুযাখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বাদি হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি বেল্লাল মৃধা ও হেলাল মৃধাকে মোল্লা স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পটুয়াখালী থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ধৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন ও আলমত জব্দ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন