শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড়: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

লকডাউনের মধ্যেও ফেরীতে গাদাগাদি করে ফেরা

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২১, ৭:০৩ পিএম | আপডেট : ৭:২৪ পিএম, ৭ মে, ২০২১

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। করোনাভাইরাসের বিস্তার থামাতে চলমান লকডাউনের মধ্যেও শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ঈদে বাড়িতে স্বজনদের সাথে ঈদে আনন্দ করার জন্য বাড়িতে ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে। চলমান লকডাউনের মধ্যে ঈদ উদযাপন করতে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিতে চড়েছেন দলে দলে মানুষ।ফলে যানবাহন ছাড়াই কেবল মানুষ নিয়ে নোঙ্গর তুলতে হয়েছে কয়েকটি ফেরিকে। শিমুলিয়া ঘাটে পদ্মা নদী পার হতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে গাদাগাদি করে চড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

লকডাউনে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও জেলার ভেতরে বাস চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট যানবাহন, এমনকি পণ্যের ট্রাক বা পিকআপে চড়েও অনেকে ঢাকার দিক থেকে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় আসছেন পদ্মা পার হয়ে মাদারীপুর সহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য।

সকালে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে দিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই লোকজন গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে দাঁড়িয়েই পদ্মা পার হচ্ছেন। অন্যদিকে ঘাটের দুই পাড়ে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে আছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ফেরিতে চাপ বেড়েছে। লকডাউনের কারণে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চের সবই বন্ধ। গত রোববার মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পর সাড়ে চারশ স্পিডবোট ও কয়েকশ ট্রলারও বন্ধ রয়েছে।ফলে পুরো চাপ পড়েছে ফেরিতে।এছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের ফেরি বহরের ১৬টি ফেরির মধ্য তিনটি বিকল রয়েছে। ফলে ১৩টি ফেরি দিয়ে পারপার করে কুলানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে না পেরে অনেক ফেরি কোনো বাহন না নিয়েই গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। ফলে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন