করোনাভাইরাসের চলমান টিকা কর্মসূচিতে ঘাটতি থাকা দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আট সপ্তাহের পরিবর্তে ১২ সপ্তাহের মধ্যেও টিকা নেওয়া যাবে বলে শনিবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক জরুরি ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সংকটের কারণে আমরা প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। সেই টিকা (যুক্তরাষ্ট্রের) আসার পর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। ফ্লোরা বলেন, এই মাসের শেষের দিকে ফাইজার থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসবে। সেই টিকা দিয়েই আমার প্রথম ডোজ শুরু করব। এই টিকা থেকে অর্ধেক দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হবে। আমাদের টিকা কার্যক্রম এভাবেই চলবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে টিকা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন এমন পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে যে টিকা আছে, তাতে আমরা এখনও ১০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব।
‘সুতরাং কেন্দ্র থেকে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। দ্বিতীয়ত আমাদের দিক থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে যাদের প্রথম ডোজ সিরামের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ একই টিকা দেওয়া যায়। যদিও কোন দিন টিকা পাব এমন তারিখ দিতে পারেনি সিরাম। দ্বিতীয় ডোজ আমরা সিরামের টিকা দিয়েই নিশ্চিত করব। আমাদের হাতে এক মাস সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিতে কাজ করছি। তবে আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি। সেব্রিনা জানান, চাহিদা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন