শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চেকপোস্ট উপেক্ষা করে মাওয়ায় মানুষের ঢল!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১:০৯ পিএম

দিনের বেলা ফেরি বন্ধ থাকলেও রাজধানী শহর ঢাকা থেকে বের হওয়া ঘরমুখো মানুষের ভীরে লোকারণ্যে পরিণত হতে শুরু করেছে মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরিঘাট। ফেরি ঘাটে ঘরমুমখো মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে পুলিশের কড়া পাহারাও মানছেন না কেউ। পথে দুটি পুলিশি চেকপোস্ট পেরিয়ে ভোর থেকে বিকল্প পথে ফেরিঘাটে পৌঁছাচ্ছে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া মানুষজন। বিজিবি মোতায়েনের পরেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
রোববার সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের সুপারের নেতৃত্বে পাহারা জোরদার করা হয়েছে। পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া কাউকেই ঘাটের দিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবুও পায়ে হেটে দীর্ঘ কাফেলার মতো মানুষ যাচ্ছে ঘাটের দিকে।
মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাট পুলিশ চেকপোস্টে দায়ীত্বরত পুলিশ সদস্য ইনসান আলী জানান, আজ প্রাশাসন কড়া অবস্থানে। কোনভাবেই কাউকে ঘাটের দিকে যেতে দেওয়া হবে না।
এর আগে মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরে আরেক দফা চেকপোস্টের মুখে পড়তে হয়েছে ঘরমুখো মাওয়া অভিমুখের যাত্রীদের। এক্সপ্রেস হাইওয়ে চেকিংয়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য জানান, কোনও ধরণের পরিবহন মাওয়া ঘাটের দিকে যেতে দেওয়া হবে না। ভোর থেকেই এখানে সব ধরণের পরিবহন আটকে রাখা হচ্ছে।
পদ্মা পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা পলাশ হালদার নামে একজন জানান, আজানের পরে এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি। ফেরি একটা মাঝ নদীতে নিয়ে রেখে দিয়েছে। ফেরি না ছাড়লে বাড়ি যাওয়া কষ্ট হয়ে যাবে। ট্রলার, স্পিডবোড কিছুই চলছে না। তবুও অপেক্ষা যদি কোনও ব্যবস্থা হয়।

নাজনীন সুলতানা নামে এক নারী যাত্রী বলেন, রাস্তায় পুলিশের জেরা ও চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা বাহনে এখানে এসে পৌঁছেছি। এখন পদ্মা কীভাবে পার হবো জানি না। তবে বাড়ি তো যেতেই হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে প্রাইভেট কার, ভাড়ায় চালিত মোটর বাইক, সিএনজি, মিনি পিকআপসহ নানা বাহনে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে মানুষ। এসব বাহনে অতিরিক্ত দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘাটের অদূরে নদীতে একটি ফেরি দাঁড় করে রাখা হয়েছে। পণ্যবাহী এই ফেরিতেও ঘরমুখো যাত্রীদের উঠে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
যদিও ঘরমুখো মানুষ ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করার কথা ছিল কিন্তু সকাল সাতটা পর্যন্ত ঘাটে এই বাহিনীর কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন