ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সব রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই অনুমতি পর শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ বহুগুনে বেড়েছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী মানুষের চাপ দেখা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। আজ মঙ্গলবার (১১ মে) ভোর থেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই ভিড়ও বাড়তে থাকে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানা যায়, বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সচল রয়েছে ১৬টি ফেরি। এর মধ্যে তিনটি ফেরি দিনে চলাচল করে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জন্য। আর রাতে প্রয়োজন অনুযায়ী চলে মালবাহী ফেরি। ফেরিতে লাশ পরিবহন করতে গিয়ে দেখা গেছে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরাও। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজন অনুসারে ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। সবশেষ খবর অনুযায়ী সোমবার (১০ মে) বিকেলে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এতে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য শিমুলিয়াঘাটে এক ধরনের যুদ্ধ চলছে ফেরি ঘাটে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি উপেক্ষা করেই ঘাটে নেমেছে মানুষের ঢল। জনস্রোত ঠেকাতে শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি সদস্যরা। বসানো হয়ছে চেকপোস্ট। তবুও থেমে নেই মানুষের ঢল। দিন পেরিয়ে রাত, রাত পেরিয়ে দিন ফেরির অপেক্ষায়, হাজারো মানুষ। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারের ফেরিতে চোখের পলকেই উঠছে তারা। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণ হিসেবে নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। তাদের সবার লক্ষ্য, যেভাবে হোক বাড়ি যেতেই হবে। এছাড়া ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ গনমাধ্যমকে জানান, রাতে আমাদের সবগুলো ফেরি অর্থাৎ ১৬টির মধ্যে ১৫টি চলে। মানুষ তো এখন করোনা ভয় পায় না। অনেকেই মাস্ক পড়ে না, পড়লেও থুতনির নিচে নামিয়ে রাখে। তিনি জানান, যাত্রীরা কৌশলে রাতের ফেরিকেই বেছে নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির মানার কোনো বালাই নেই। ভয়াবহ পরিস্থিতিকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে নিয়ে আসছে অসচেতন মানুষ। দেশে চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে আবার নতুন আতঙ্ক ভারতীয় ধরণ ধরা পড়েছে বাংলাদেশে। বিষয়টি নিয়ে সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন