নেছারাবাদে শশুর বাড়ী বেড়াতে গিয়ে চোর সাব্যস্ত হয়ে বউয়ের চাচাত ভাইয়ের হাতে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হলেন তালেব নামে এক হতভাগা স্বামী। ওই হতভাগা স্বামীর বউয়ের নাম আনিকা হাওলাদার। আর তার চাচাত ভাইয়ের নাম শাকিল হাওলাদার। শাকিল বোন জামাই তালেব মিয়ার হাত পা বেধে রাতভর বেদড়ক পিটিয়েছেন। সকালে ওই যুবকের মাকে খবর দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেলেকে তার হাতে তুলে দিয়েছেন। আর এ ঘটনায় শাকিলকে সহযোগীতা করেছেন এলাকার মেম্বরের ছেলে জাকারিয়া।
গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম সোহাগদল গ্রামের বাদশা ফকিরের বাড়ীতে রাতভর এমন অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই যুবক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মার খাওয়া যুবক পেশায় একজন সামন্য ট্রলার চালক।
বাড়ীতে বিছানায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়, নির্যাতনের শিকার তালেব অভিযোগ করে জানায় ,চার বছর পূর্বে ওই গ্রামের রশিদ হাওলাদারের মেয়ে অনিকার সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের সুবাধে স্ত্রী আনিকার চাচাত ভাই শাকিল তার বাসায় সর্বদা আসা যাওয়া করত। এ নিয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলে তাদের সংসারে কলহ লেগেই হত। তাদের সংসারে শাকিলের অবাধে যাতায়াত তার চোখে সন্দেহের জমাট বাধে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন নিজের ঘরেই স্ত্রী আনিকা ও তার চাচাত ভাই শাকিলকে একসাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই তালেব। বিষয়টি শশুরবাড়ীর মেম্বরের ছেলে জাকারিয়াকে জানানো হয়। তখন জাকারিয়া লোক দেখানো সালিশ বৈঠক করে আনিকাকে তার হাতে দিয়ে দেয়। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই আনিকা একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংসারে ঝগড়া করে বাবার বাড়ীতে চলে যায়।
গত রোববার রাতে স্ত্রীর আনিকার ফোন পেয়ে রাতে শশুর বাড়ীতে যাই। বাসায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে ওৎ পেতে থাকা শাকিল ও তার লোকজন তালেবকে চোর বলে ধরে খুটির সাথে বেধে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। সকালে তার মা খবর পেয়ে ছুটে আসলে, মেম্বারের ছেলে জাকারিয়া এলাকার চৌকিদার নিয়ে সাধা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয় অভিযুক্ত শাকিল জনায়,তাকে কোন রকম নির্যাতন করা হয়নি। তার স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তাকে রাতে আমাদের বাড়ীতে ঘোড়া ফেরা করতে দেখে চোর বুজে ধরে ছিলাম মাত্র।
নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ আবির মোহাম্মাদ হোসেন বলেন,এ বিষয় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন