শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ফাঁকা ঢাকায় সুনসান নীরবতা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২১, ৭:১৭ পিএম

করোনাভাইরাসের মধ্যে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে সপ্তাহজুড়েই ছিল নগরবাসীর কেনাকাটা আর গ্রামে ফেরার ব্যস্ততা। দূরপাল্লার পরিবহন না থাকলেও বিকল্প পরিবহনে ঢাকা ছেড়েছে মানুষজন। ঈদের আগের দিন ফাঁকা হয়ে এসেছে রাজধানী। এ যেন অচেনা ঢাকা। কোলাহল নেই, যানজট নেই, নেই ব্যস্ততা। চারিদিকে সুনসান নীরবতা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ, নিউমার্কেটসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় গত কিছুদিনের তুলনায় সড়কে ব্যস্ততা একেবারেই কম।

এসব এলাকায় কমবেশি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, রিক্সা, ব্যক্তিগত পরিবহন চলতে দেখা গেলেও সিটি বাস ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল কম চলাচল করছে।

তবে, এর মধ্যেও জরুরী সেবাদান প্রতিষ্ঠানের কিছু মানুষ বের হয়েছেন কর্মস্থলের উদ্দেশে। ধানমন্ডি এলাকায় কথা হয় একটি হাসপাতালে কর্মরত শারমিন জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি না থাকায় হাসপাতালে যাচ্ছি। আজ রাস্তা একদমই ফাঁকা, এজন্য কম সময়ে চলে আসতে পেরেছি।

এদিকে ফাঁকা রাজধানীতে অনেকে আবার বেরিয়েছেন শেষ মূহুর্তের শপিংয়ে। কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, ঢাকায় ঈদ করবেন এজন্য পরে কেনাকাটা করছেন। আগে ভীড় ছিল এজন্য আসেননি।

তবে সকাল থেকে উত্তরা, আমিনবাজারসহ রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভীড় দেখা গেছে। ঈদ সামনে রেখে শেষ মূহুর্তে ঘরমুখো মানুষজনই বের হয়েছেন বেশি।
কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কবির হোসেন। তিনি বলেন, বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। সরাসরি বাস না চলায় ভেঙ্গে যেতে হবে। এত ঝামেলা নিয়েও বাড়িতে পৌঁছাতে পারলে ভালো লাগবে।

এদিকে, দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মহাসড়কে গাড়ির চাপ না থাকায় কোথাও কোনো যানজট নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন